কিছু কর্মীর ঘাড়েই খাঁড়া বার্ন স্ট্যান্ডার্ডে

গোলমালের পরে পরেই দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। হাওড়ার বার্ন স্ট্যান্ডার্ডে হাঙ্গামা ও মারধরের ঘটনায় যে-সব কর্মী অভিযুক্ত তৃণমূল পুরকর্তা ও নেতাদের সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়ার ধারা অব্যাহত। হামলাকারীদের সাহায্য করা এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জয়ন্ত পাল ও শ্যামল গোস্বামী নামের দু’জন অস্থায়ী ঠিকা কর্মীকে সোমবার সাময়িক বরখাস্তের নোটিস দিয়েছে ওই সংস্থা। আগে একই অভিযোগে সাসপেন্ড হন দুই স্থায়ী কর্মী আকাশ মল্লিক ও দেবাশিস চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:১৫
Share:

গোলমালের পরে পরেই দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। হাওড়ার বার্ন স্ট্যান্ডার্ডে হাঙ্গামা ও মারধরের ঘটনায় যে-সব কর্মী অভিযুক্ত তৃণমূল পুরকর্তা ও নেতাদের সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়ার ধারা অব্যাহত।

Advertisement

হামলাকারীদের সাহায্য করা এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জয়ন্ত পাল ও শ্যামল গোস্বামী নামের দু’জন অস্থায়ী ঠিকা কর্মীকে সোমবার সাময়িক বরখাস্তের নোটিস দিয়েছে ওই সংস্থা। আগে একই অভিযোগে সাসপেন্ড হন দুই স্থায়ী কর্মী আকাশ মল্লিক ও দেবাশিস চক্রবর্তী।

অস্থায়ী শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে গত বুধবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড। আঙুল ওঠে শাসক দলের কিছু শ্রমিক-নেতা ও মেয়র-পারিষদের দিকে। তাঁরা জেনারেল ম্যানেজার শান্তনু সরকারকে পেটান এবং কারখানা থেকে বার করে দেন বলে থানায় অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষ। কাজ বন্ধের নোটিস দেওয়া হয় সে-রাতেই। পরের দিন পুলিশ-প্রশাসনের কাছ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে কর্তৃপক্ষ সেই নোটিস তুলে নেন। জানান, যে-সব কর্মী হামলাকারীদের মদত দিয়েছেন, সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

অশনি সঙ্কেত দেখছেন কর্মীরা। আইএনটিটিইউসি-র বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানি কনট্রাক্টর লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শৈলেশ রাই বলেন, “কোম্পানি যে-ভাবে লোক তাড়াচ্ছে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এতে শান্তি বিঘ্নিত হবে।” বার্ন স্ট্যাডার্ড কোম্পানি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নির্বাহী সভাপতি গোপাল ভট্টাচার্যও শাস্তির বিরোধিতা করেছেন। কর্মীদের প্রশ্ন, শাস্তির ছুতোয় কর্তৃপক্ষ কি কর্মী-সঙ্কোচন শুরু করলেন? কর্তৃপক্ষ জানান, শুধু ওই ঘটনায় যুক্ত কর্মীদেরই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংস্থার এক কর্তা বলেন, “যাঁদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে, অনশনকারীদের সঙ্গে প্রতিদিনই তাঁদের থাকতে দেখা গিয়েছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন