কল্যাণীতে ফি বৃদ্ধি নিয়ে বিক্ষোভে বহিরাগতরা

দশ বছর পরে স্নাতকোত্তরে বাড়ল ভর্তির ফি। তাতেই বৃহস্পতিবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন শ’খানেক ব্যক্তি। দাবি, ফি কমাতে হবে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখার পর কর্তৃপক্ষের দাবি, এরা অনেকেই বহিরাগত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩৫
Share:

দশ বছর পরে স্নাতকোত্তরে বাড়ল ভর্তির ফি। তাতেই বৃহস্পতিবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন শ’খানেক ব্যক্তি। দাবি, ফি কমাতে হবে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখার পর কর্তৃপক্ষের দাবি, এরা অনেকেই বহিরাগত।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক তথা ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধক বিমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘সমস্ত বর্ষেই ফি বাড়ানো হয়েছে বলে ছাত্রদের বিভ্রান্তি হয়েছিল। কিন্তু ফি বেড়েছে শুধু প্রথম বর্ষে।” বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তা নিয়েও সংশয় আছে, জানান তিনি। সেই সঙ্গে, ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তরে কলা বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি-সহ কোর্স ফি ছিল ১৬২৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৩০০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ১৭৭৫ টাকা থেকে হয়েছে ৮২০০ টাকা। এই নিয়ে এ দিন দুপুরে আচমকাই বিক্ষোভ শুরু করে প্রায় ১০০জন।

Advertisement

উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার দাবি করে। কোনও ব্যানার না থাকায় এই বিক্ষোভ কাদের, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা বোঝালে বিক্ষোভ থামে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদ এ দিনের বিক্ষোভ থেকে দূরে থাকছেন। ছাত্র সংসদের সভাপতি কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে ছাত্র সংসদ কোনও ভাবেই জড়িত নয়। তবে ফি বৃদ্ধির পুনর্বিবেচনার জন্য আমরাও অনুরোধ করেছি।” ছাত্র সংসদের সম্পাদক তন্ময় আচার্যের সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। এসএমএসেরও উত্তর দেননি তিনি।

শিক্ষকদের অনেকেই আবার অভিযোগ করেছেন, সহকর্মীদের একাংশ ও ছাত্রদের কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম কলুষিত করছে।

যখন-তখন বহিরাগতদের কলেজে ঢোকা নিয়েও এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য রতনলাল হাংলু বলেন, ‘‘বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ভুল তথ্য পরিবেশন হচ্ছে। আমরা নজর দিচ্ছি।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও একটি বৈঠক হয়েছে। উপাচার্য বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করতে অপ্রয়োজনীয় গেটগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসেছে। যে গেট দিয়ে সকলে ঢোকেন সেখানেও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।” পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ চালু করার কথাও ভাবছেন কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন