খাগড়াগড়-কাণ্ডে এক সাক্ষীর নতুন করে গোপন জবানবন্দি নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। গোয়েন্দারা জানান, ওই সাক্ষীর বাড়ি নদিয়ায়। তাঁর সঙ্গে পলাতক এক জঙ্গির পরিচয় ছিল। সেই সূত্রেই ওই সাক্ষী পলাতক অভিযুক্তের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে গোয়েন্দাদের। এক তদন্তকারী জানান, অভিযুক্ত ধরা না পড়লেও তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমরা আদালতকে জানাতে চাই। তাই ওই সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে। আদালত তা মঞ্জুরও করেছে। এনআইএ সূত্রের খবর, এই তদন্তে এর আগে প্রায় কুড়ি জন সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার খাগড়াগড় কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজিয়া বিবি ও হাসেম মোল্লাকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক মহম্মদ মুমতাজ খান। তিন দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে এ দিন তাঁদের আদালতে পেশ করেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। এ দিন আদলতের বাইরে এনআইএ-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ দাবি করেন, ওই দু’জনকে আর এনআইএ-র হেফাজতে রাখার দরকার নেই। এর আগে গত সোমবার তদন্তের জন্য প্রেসিডেন্সি জেল থেকে হাসেম এবং রাজিয়াকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল এনআইএ। ৩ জানুয়ারি এদের ফের আদালতে তোলা হবে।
রবিবার রাজিয়াকে নিয়ে বর্ধমানে যায় এনআইএ-র একটি দল। রাজিয়ার উপস্থিতিতে খাগড়াগড় কাণ্ডে নিহত জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) চাঁই শাকিল গাজির শেষকৃত্য হয়। রাজিয়া শাকিলের স্ত্রী। এনআইএ জানায়, রাজ্যের জেএমবি-র আরও কয়েক জন সদস্য সম্পর্কে কিছু তথ্য যাচাই করা হয় হাসেম ও রাজিয়াকে দিয়ে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, অসমে গ্রেফতার হওয়া শাহনুর ওরফে ডাক্তারকে আগামী তিন তারিখ নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হবে। অসম পুলিশের হাতে বরপেটা থেকে ধরা পড়া শহিকুল ইসলাম ওরফে আবদুল্লা ও রফিকুল ইসলামকেও ওই দিন তার সঙ্গে একই আদালতে পেশ করা হবে। এনআইএ অসম পুলিশের হেফাজতে ইতিমধ্যেই শাহনুরকে দফায় দফায় জেরা করেছে।