জঙ্গি যোগ রয়েছে এই সন্দেহে রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুরে একটি লাল রঙের গাড়ি আটকান গ্রামবাসীরা। গাড়ি থেকে মিলল ৯ এমএম পিস্তল সহ বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। গাড়ির ছয় আরোহীকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলেও দেন ওই গ্রামবাসীরা। খাগড়াগড় কাণ্ডের সঙ্গে এই গাড়ির আরোহীদের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা এনআইএ খতিয়ে দেখছে। এই দিনই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম চাঁই পলাতক ইউসুফ শেখের সঙ্গে চেহারার মিল থাকায় ১৯ বছরের এক তরুণকে পুলিশের হাতে তুলে দেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে একটি বাসের যাত্রীরা। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলকোটে ওই গ্রামবাসীরা সন্দেহজনক একটি গাড়ি সে দিকে আসছে শুনে কোঁয়ারপুর চৌরাস্তায় একটি ট্রাক্টর উল্টে রেখে দেন। গ্রামবাসীরা জানান, সন্ধ্যায় একটি লাল রঙের গাড়ি সেখানে পৌঁছয়। কোন রাজ্যের গাড়ি, নম্বর প্লেটে তার সঙ্কেত লেখা ছিল না। শুধু নম্বর ছিল। রাস্তা আটকানো দেখে গাড়ি থেকে দু’জন নামে। গ্রামবাসীরা তাদের জানান, ট্রাক্টর খারাপ হয়ে গিয়েছে। তা শুনে গাড়িটি পিছোতে থাকে। গ্রামবাসীরা তাদের ধরে ফেললে সাত আরোহী পালাতে যায়। গ্রামবাসীরা ইট ছোড়েন। তাতে দু’জন আহত হয়। চার জনকে ধরে ফেলে জনতা। এক জন পালায়। খবর পেয়ে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ পৌঁছয়। গাড়ি থেকে বিস্ফোরক তৈরির উপাদান, একটি দোনলা বন্দুক, চারটি পিস্তল ও একটি ভোজালি মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের পরিচয় জানতে জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গঙ্গারামপুর থানার পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বাসযাত্রীরা যে যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন, পুলিশ জেনেছে তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ এলাকার বেলতলা গ্রামে। তিনি মালদহের এক মাদ্রাসার ছাত্র। বেসরকারি বাসটি কলকাতা থেকে জেলার হিলিতে আসছিল। পতিরাম এলাকায় নেমে তাঁর কুমারগঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল। সকাল সাতটা নাগাদ বাসটি বুনিয়াদপুরে দাঁড়ায়। বাসযাত্রীরা একটি চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা খাওয়া শুরু করেন। সেই সময় খবরের কাগজে ইউসুখ শেখের ছবি দেখেন কয়েকজন যাত্রী। ওই তরুণের সঙ্গে চেহারার মিল থাকায় তাঁকে আটকে রাখেন বাসযাত্রীরা। গঙ্গারামপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসটি দাঁড় করায় পুলিশ। ওই তরুণকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে ছাড়া হয় বলে পুলিশের দাবি।