ভাষা পরিষদ প্রেক্ষাগৃহে রেজ্জাক মোল্লার সঙ্গে মুকুল রায়। —নিজস্ব চিত্র
দলের অনুষ্ঠান থেকে তিনি দূরেই থাকলেন। দলীয় মুখপত্রের শারদ সংখ্যা প্রকাশের অনুষ্ঠানে এ বারই প্রথম দেখা গেল না তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য মুকুল রায়কে।
সোমবার মহালয়ার বিকেলে নজরুল মঞ্চে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় মুখপত্রের ‘উৎসব সংখ্যা’ প্রকাশ করেন। কিন্তু তার আগেই এ দিন দুপুর থেকে বিকেল মুকুল ব্যস্ত রইলেন তাঁর অনুগামীদের নিয়ে ‘আগমনি’ অনুষ্ঠানে। তাঁর অনুগামীরা ইতিমধ্যেই নতুন দল গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। সেই অনুগামীরাই আগামী দীপাবলিতে একটি পাক্ষিক প্রকাশ করবেন। সেই পাক্ষিকের তরফেই এ দিন শেক্সপীয়র সরণিতে ভাষা পরিষদ প্রেক্ষাগৃহে ‘আগমনি’র আয়োজন করা হয়েছিল। মুকুল সেখানেই দুপুর থেকে বিকেল মশগুল রইলেন গুণিজন সান্নিধ্যে আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।
নজরুল মঞ্চে দলীয় মুখপত্রের অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘‘আমাদের এই পত্রিকার চাহিদা রয়েছে। স্নিগ্ধ-কোমল পত্রিকা। রাজনৈতিক দলের পত্রিকা বলে কিন্তু কাউকে আমরা আক্রমণ করি না।’’ তাঁদের পত্রিকার প্রচারসংখ্যা ৬০-৭০ হাজার ছুঁয়েছে বলে তাঁর দাবি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বাংলাদেশের সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, কবি সুবোধ সরকার, গায়ক দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্র, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে মমতা নিজে চণ্ডীপাঠও করেন।
দলীয় মুখপত্রের ‘উৎসব সংখ্যা’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী
তাঁর প্রাক্তন ‘সেনাপতি’ মুকুল অবশ্য তাঁর অনুগামীদের অনুষ্ঠানে কোনও বক্তৃতা করেননি। তিনি ব্যস্ত ছিলেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনায়। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ, চিকিৎসক বেণুগোপাল, অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ সংবর্ধিত হন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা রেজ্জাক মোল্লা, পিডিএস নেতা সমীর পূততুণ্ড থেকে শুরু করে বিজেপির বিক্রম সরকার, আর কে মহান্তি, আর কে হাণ্ডা, প্রদীপ ঘোষ প্রমুখ। এই নেতাদের উপস্থিতিকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে মুকুল ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, ‘‘আমাদের নতুন দলের আগমনি আজ থেকে শুরু হয়ে গেল।’’