শিষ্য যখন সারদা নিয়ে বিড়ম্বনায়, তখন নীরবেই চলে গেলেন গুরু। সোমবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কাঁচরাপাড়ার ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা মৃণাল সিংহরায় ওরফে আবু (৫৮)। শৌচালয়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিছু দিন আগে স্কুটার দুর্ঘটনার পর থেকেই শরীর ভাল ছিল না। সম্প্রতি পক্ষাঘাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন।
আজ যিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সেই মুকুল রায় ডানপন্থী রাজনীতিতে এসেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেতা আবুর হাত ধরেই। আশির দশকে সে সময়ে এসএফআই করতেন মুকুলবাবু। তাঁকে বীজপুরে যুব কংগ্রেসের সম্পাদক করে আনেন আবু। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে মুকুলবাবুর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর পিছনেও তাঁর অবদান নেহাত কম ছিল না।
নয়ের দশকে যে কংগ্রেস নেতাদের ভোটের টিকিট দেওয়ার প্রতিবাদে গায়ে কালো চাদর জড়িয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আবুও (বাকি তিন জন ছিলেন অধীর চৌধুরী, সুলতান আহমেদ ও শঙ্কর সিংহ)। তবে কংগ্রেস ছেড়ে পরে তৃণমূলে এসেছিলেন আবু। কিছু দিন পরে ফেরেন পুরনো দলে। ফের কয়েক বছর আগে যোগ দেন ঘাসফুলেই। ইদানীং অবশ্য দলের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। মুুকুলবাবুর সঙ্গেও নানা কারণে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।
মুকুলবাবু এ দিন ছিলেন দিল্লিতে। তবে আবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর ছেলে, বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু গিয়েছিলেন ডাঙাপাড়ায় আবুর বাড়িতে। সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতারাও আসেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।