জালে আরাবুলের আরও দুই ঘনিষ্ঠ

তৃণমূল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত আরাবুল ইসলামের ঘনিষ্ঠদের একে একে কব্জা করছে পুলিশ। ভাঙড়ে জোড়া খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে ভাঙড়ের বেঁওতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে নেপাল সর্দার ও বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় নামে ওই দু’জনকে ধরা হয়। তদন্তকারীর অফিসারদের দাবি, ওই দু’জনই আরাবুলের ঘনিষ্ঠ। রবিবার ধৃতদের বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের পাঁচ দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৪৭
Share:

ভাঙড়-কাণ্ডে ধৃত বেঁওতা ১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান পাঁচু মণ্ডলের স্ত্রী লক্ষ্মীদেবী রবিবার সকালে বাড়ি ফিরে পুড়ে যাওয়া ঘর থেকে গৃহস্থালির জিনিসপত্র খুঁজে নিচ্ছেন। ছবি: সামসুল হুদা।

তৃণমূল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত আরাবুল ইসলামের ঘনিষ্ঠদের একে একে কব্জা করছে পুলিশ। ভাঙড়ে জোড়া খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে ভাঙড়ের বেঁওতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে নেপাল সর্দার ও বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় নামে ওই দু’জনকে ধরা হয়। তদন্তকারীর অফিসারদের দাবি, ওই দু’জনই আরাবুলের ঘনিষ্ঠ। রবিবার ধৃতদের বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের পাঁচ দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

২৫ অক্টোবর, ভাইফোঁটার দিন এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বেঁওতা গ্রাম। গুলিতে খুন হন রমেশ ঘোষাল নামে এক তৃণমূলকর্মী। হামলা চালানো হয় বেঁওতা-১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান পাঁচু মণ্ডলের বাড়িতেও। সপরিবার পাঁচুবাবু কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। গুলিতে প্রাণ হারান বাপন মণ্ডল নামে আরও এক তৃণমূলকর্মী।

তদন্তে নেমে এর আগে দিলীপ মণ্ডল, দীনবন্ধু মণ্ডল, কুতুবুদ্দিন গাজি, আজিম সাহাজি-সহ ১২ জন আরাবুল-ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। শনিবার ধৃত নেপালকে জেরা করে তার বাড়ির কাছের একটি পুকুর থেকে দু’টি একনলা বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর দিলীপ ও দীনবন্ধুকে জেরা করে শনিবার বেঁওতা গ্রামেরই একটি ডোবায় আরও দু’টি একনলা বন্দুক পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

বিশ্বনাথের স্ত্রী কৃষ্ণাদেবী রবিবার বারুইপুর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বলেন, “পুলিশ শুধু শুধু আমার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। উনি নির্দোষ। নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। আরাবুল বা তাঁর কোনও সঙ্গীর সঙ্গে আমার স্বামীর কোনও সম্পর্ক নেই।” তা হলে পুলিশ কেন ধরল তাঁর স্বামীকে? কৃষ্ণাদেবী বলেন, “হাঙ্গামার দিন আমার স্বামী কয়েকটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলছিলেন। তাই হয়তো পুলিশ ওঁকে গ্রেফতার করেছে।” ওই মহিলা জানান, তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।

রমেশ ও বাপনের পরিবারের তরফে যে-অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তাতে নেপাল বা বিশ্বনাথের নাম ছিল না। তা হলে পুলিশ কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করল তাঁদের? জেলা পুলিশের একটি সূত্রের মতে, তদন্ত করে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন