জেলকর্মীর মদতেই শম্ভুর হাতে মোবাইল

‘‘জেল মে সুড়ঙ্গ!’’ ‘শোলে’ ছবির এই সংলাপ প্রতীকের মতো ফিরে এসেছে জেলবন্দি তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাওয়ের মোবাইল কাণ্ডে। তদন্তে জানা গিয়েছে, আক্ষরিক অর্থে সুড়ঙ্গ নয়। জেলে মনুষ্য-সুড়ঙ্গ দিয়েই মোবাইল পেয়েছিলেন তিনি। এবং সেই মূর্তিমান সুড়ঙ্গ এক জন কারাকর্মী। তাঁর নামও জানা গিয়েছে।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৪ ০৩:১৮
Share:

‘‘জেল মে সুড়ঙ্গ!’’

Advertisement

‘শোলে’ ছবির এই সংলাপ প্রতীকের মতো ফিরে এসেছে জেলবন্দি তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাওয়ের মোবাইল কাণ্ডে। তদন্তে জানা গিয়েছে, আক্ষরিক অর্থে সুড়ঙ্গ নয়। জেলে মনুষ্য-সুড়ঙ্গ দিয়েই মোবাইল পেয়েছিলেন তিনি। এবং সেই মূর্তিমান সুড়ঙ্গ এক জন কারাকর্মী। তাঁর নামও জানা গিয়েছে।

জুলাইয়ের গোড়ায় কাও আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বসেই মোবাইলে কথা বলেন দলের এক জনপ্রতিনিধির সঙ্গে। ওই জনপ্রতিনিধি তখন নবান্নে। কাও তাঁকে একটি সমস্যা মিটিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। ওই জনপ্রতিনিধি বিষয়টি জানান কারামন্ত্রী হায়দার আজিজ সফিকে। সরকারের অন্দরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। নড়েচড়ে বসেন প্রশাসনের কর্তারা। সেই রাতেই কারামন্ত্রী জেলে তল্লাশির নির্দেশ দেন। তখনই কাওয়ের সেল থেকে মোবাইল এবং কয়েকটি সিমকার্ড উদ্ধার হয়। কারাকর্তাদের জেরায় কাও জানান, এক জেলকর্মীর সাহায্যেই মোবাইল পান তিনি। ওই কর্মীকে চিহ্নিত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কাওয়ের কাছে পাওয়া সিমকার্ড কার নামে কেনা হয়েছিল, পরিষেবা সংস্থার কাছে তা জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই মোবাইল থেকে কাদের ফোন করা হয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।

Advertisement

গত পাঁচ মাসে তল্লাশি চালিয়ে আলিপুর, প্রেসিডেন্সি ও দমদম সেন্ট্রাল জেলের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেল থেকে প্রায় ৩৫০টি মোবাইল ফোন এবং সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু কারামন্ত্রী মনে করেন, শুধু তল্লাশিতেই জেলে মোবাইল চালান বন্ধ করা যাবে না। যে-পথে তা ঢুকছে, সেটা বন্ধ করতে হবে। তাঁর দৃঢ় ধারণা, কারাকর্মীদের একাংশের যোগসাজশ ছাড়া এটা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “জেলে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে তিনটি সেন্ট্রাল জেলে ১০টি করে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে জেলে জ্যামারও বসে যাবে।” কারাকর্তারা জানান, সম্প্রতি রাজ্য পুলিশ, কলকাতা-সহ চারটি পুলিশ কমিশনারেটের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে এডিজি (কারা) অধীর শর্মার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও বন্দির কাছে সিম বা মোবাইল মিললেই চোরাই ফোনের মামলা করা হবে। ইতিমধ্যেই মোবাইল-সহ ধরা পড়েছে ৪০ বন্দি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন