টুকরো খবর

দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পরে অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন বীরভূমের পাড়ুইয়ে সাগরচন্দ্র ঘোষ হত্যা-মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ভগীরথ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সিউড়ি আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিনই ওই খুনের ঘটনায় ধৃত আরও পাঁচ অভিযুক্তকে সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। বিচারক ভগীরথ-সহ ৬ জন অভিযুক্তকেই ৭ মে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৩৪
Share:

পাড়ুই-কাণ্ডে অভিযুক্তের আত্মসমর্পণ সিউড়িতে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি

দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পরে অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন বীরভূমের পাড়ুইয়ে সাগরচন্দ্র ঘোষ হত্যা-মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ভগীরথ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সিউড়ি আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিনই ওই খুনের ঘটনায় ধৃত আরও পাঁচ অভিযুক্তকে সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। বিচারক ভগীরথ-সহ ৬ জন অভিযুক্তকেই ৭ মে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিনই পাড়ুই-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শেখ মুস্তাফার জামিনের আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট। পাড়ুই থানার কসবা পঞ্চায়েতের বাঁধনবগ্রামের বাসিন্দা, ওই পঞ্চায়তের নির্দল প্রার্থী (বিক্ষুব্ধ তৃণমূল) হৃদয় ঘোষের বাবা সাগর ঘোষ গত বছর জুলাইয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগের রাতে গুলিবিদ্ধ হন। বর্ধমান মেডিক্যালে মারা যান ওই বৃদ্ধ। ওই ঘটনায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী-সহ মোট ৪১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের পুত্রবধূ শিবানী ঘোষ। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব নেয় বিশেষ তদন্তকারী দল বা এসআইটি (সিট)। অভিযোগের তালিকায় ভগীরথের নাম রয়েছে পাঁচ নম্বরে। শিবানীদেবী যে চার জনের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছিলেন, ভগীরথ তাঁদের অন্যতম। বাকি তিন জনের মধ্যে আগেই ধরা পড়েছেন আর এক অভিযুক্ত, স্থানীয় সাত্তোর এলাকার বাসিন্দা শেখ ইউনিস। গুলি চালানোয় বাকি দুই অভিযুক্তের মধ্যে বাঁধনবগ্রামের সুব্রত রায় ও কসবার বাসিন্দা শেখ আজগর এখনও ফেরার। ভগীরথ, সুব্রত ও আজগরের নামে হুলিয়া জারি হয়েছিল। তাঁদের সম্পত্তি ক্রোক করার নোটিসও পড়েছিল। নিহতের ছেলে হৃদয়বাবুর প্রতিক্রিয়া, “বাবাকে খুনের ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত ভগীরথ ঘোষ ধরা পড়ায় আমরা খুশি।”

Advertisement

সাক্ষী সন্ধ্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর

ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সামনে পড়লেন মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যা রায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এগরা হাইস্কুল মাঠে সভা ছিল। মঞ্চের দখল নিয়ে এগরা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তপনকান্তি কর ও এগরা পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান স্বপন নায়ক, বিধায়ক সমরেশ দাসের গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি বাধে। মঞ্চ থেকে চেয়ার ফেলে হয়। তখন কাছেই গাড়িতে ছিলেন সন্ধ্যাদেবী। সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ। এর আগেও বার দু’য়েক প্রচারে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সাক্ষী থাকতে হয়েছে সন্ধ্যাদেবীকে।

লগ্নি সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ, কর্তা গারদে

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

প্রতিশ্রুতি ছিল, সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করলে দু’বছরে দ্বিগুণ অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে। অর্থ লগ্নি সংস্থার সেই আশ্বাসে কয়েক লক্ষ মানুষ অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে টাকা তুলতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, শাইন ইন্ডিয়া অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থার অফিস বন্ধ। বন্ধ আধিকারিকদের মোবাইলও। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে মেদিনীপুরের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। তদন্ত করতে নেমে অভিযুক্ত সংস্থার এক ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ভবানী ভবন সূত্রের খবর, ধৃতের নাম দুলাল সেনাপতি। তাঁর বাড়ি পুর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। মঙ্গলবার রাতে রামনগরের বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনার পর থেকেই সংস্থার মুখ্য আধিকারিক পলাতক। এক গোয়েন্দাকর্তা জানান, কয়েক বছরে ওই সংস্থা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। গোয়েন্দারা জানান, দুলালের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১৪ রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে। বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে তাঁর বাবা দুর্গাশঙ্কর সেনাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসি লাগাতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু যুবকের

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

একটি বহুতলের তেতলায় এসি বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র লাগাতে গিয়ে নীচে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার উড স্ট্রিটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রাকেশ সাউ (৩২)। তাঁর বাড়ি ভবানীপুরের বকুলতলা রোডে।

লক্ষ্মণ-কাঁটা সামলাতে

দল থেকে বহিষ্কারের পরেও এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষ্মণ শেঠ যে ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রভাব কাজে লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তার মোকাবিলায় এ বার দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করল সিপিএম। ভোটের সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে সিপিএম নেতৃত্বের সতর্ক-বার্তা প্রকাশ্যে আবেদন আকারেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে কোনও বহিষ্কৃত নেতার কাজকর্মের জেরে এমন পদক্ষেপ করতে হয়নি আলিমুদ্দিনকে! বহিষ্কৃত নেতাকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সূর্যবাবু এ দিন বলেন, “লক্ষ্মণ শেঠ এখন দলে নেই। খবর পেয়েছি, উনি বামফ্রন্টকে হারানোর জন্য চেষ্টা করছেন।”

নুরুল-মামলা

জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাগরদিঘির তিনটি ২০, ২১ ও ২২ নম্বর বুথে পাঁচ জনের বেশি সঙ্গী নিয়ে ঢুকে পড়ায় ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শেখ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভাঙার অপরাধে মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে লোকজন সহ প্রার্থীকে বুথের ভিতর ঢুকতে দেওয়ার অপরাধে ওই সব বুথের তিন প্রিসাইডিং অফিসারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।

ভোট বয়কট

সেতু তৈরির দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ায় জঙ্গিপুরের বসন্তপুর গ্রামের ১১৯৫ ভোটার বৃহস্পতিবার ভোট দিলেন না। এই লোকসভা কেন্দ্রেরই ঝিল্লি গ্রামের রায়পুর বুথের ৩৯৭ ভোটারও ভোট দিতে আসেননি। রায়পুরে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র না হওয়ায় এই প্রতিবাদ। উত্তর দিনাজপুর ও মালদহের কিছু ভোটারও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে ভোট বয়কট করেছেন।

ইভিএম বিভ্রাট

কোনও ভোটযন্ত্রে আলোই জ্বলছে না, আবার কোথাও একটি বোতাম টিপতেই সব প্রার্থীর নামের পাশের আলো জ্বলে উঠেছে। ইভিএম নিয়ে এমনই নানা অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে। ইভিএম বিভ্রাটে সাময়িক ভাবে ভোটগ্রহণ স্থগিতও থাকে বিভিন্ন জায়গায়। বৃহস্পতিবার ইভিএম নিয়ে অভিযোগের জেরে পুনর্নির্বাচনের দাবি উঠেছে ইটাহারের একটি বুথ-সহ বিভিন্ন এলাকায়।

ভোটের হার

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৬টি কেন্দ্রে এ বার ভোটের হার সামান্য কমেছে। কমিশন সূত্রে খবর, ৬টি কেন্দ্রে গড়ে ভোট পড়েছে ৮২%-র সামান্য বেশি। গত লোকসভার চেয়ে ১% কম। বালুরঘাটে ৮৬%, মুর্শিদাবাদে ৮৭%, জঙ্গিপুরে ৮২% এবং মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ৮০% করে ভোট পড়ে।

কমিশনে গেল মমতার বক্তব্য

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের যা বলেছেন, তা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের কয়েক জন বিডিও ও কয়েকটি থানার ওসিকে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়ে গত বুধবার নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত জানান, সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই বক্তব্য কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তবে কমিশন এ নিয়ে এখনও কোনও মতামত দেয়নি।

বুথে ধূমপান বন্ধ এ রাজ্যেও

জম্মু-কাশ্মীর বা পড়শি অসম-বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও সব বুথে ধূমপান নিষিদ্ধ করল নির্বাচন কমিশন। সব স্তরের ভোটকর্মীদের এই বার্তা পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে আধিকারিকদের। কিছু ক্যানসার চিকিৎসক বুথে ধূমপান নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, ভোটে বহু বিষয় রাতারাতি গুরুত্ব পেয়ে গেলেও ধূমপানের মতো বড় সমস্যা সে-ভাবে সামনে আসেনি। অথচ আইন অনুযায়ী প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ। বুথে এই আইন যাতে মেনে চলা হয়, সেই ব্যাপারে সক্রিয় হতে কমিশনকে আর্জি জানান তাঁরা।

যাদবপুরে মার

যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগানে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে সিপিএমের লোকজন পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। তখনই তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে কাজিয়া বেধে যায়। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ভোটের আগে থেকেই আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তৃণমূল হামলা করছে।” আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “ওখানে কী হয়েছে, জানি না। খোঁজখবর নিচ্ছি।”

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং প্রয়াত ইতিহাসবিদ বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়ের লেখা
‘ইউরোপ অ্যান্ড দ্য হুগলি: দ্য ইউরোপিয়ান সেটেলমেন্টস অন দ্য ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক অব দ্য রিভার’
বইটি পড়ে ভাল লেগেছে বলে জানালেন সমাজতত্ত্ববিদ আন্দ্রে বেতেই। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের
আলিপুর ক্যাম্পাসে বইটি প্রকাশ করেন বেতেই। সুরঞ্জনবাবু বলেন, “২০০৮ সালে বাসুদেবদা মারা
যাওয়ায় বইটির কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর
উৎসাহে ফের কাজ শুরু করি এবং এখন তা বই আকারে
প্রকাশিত হওয়ায় ভাল লাগছে।” —নিজস্ব চিত্র

ভ্রম সংশোধন

বৃহস্পতিবার ‘কমিশনের রিপোর্ট কার্ড’ শীর্ষক পরিসংখ্যান-প্রতিবেদনে
সারদা কমিশনে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ভুল করে ৭,৫৪,৬৪৮ লেখা হয়েছে।
আসল সংখ্যাটি হবে ১৭,৫৪,৬৪৮।এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন