নেত্রীও পথে, কোথায় মুকুল, কাটছে না ধাঁধা

দলের প্রায় সব নেতাই রাস্তায়। এমনকী, কালীঘাটের বাড়ি থেকে নবান্ন যাওয়ার পথে ময়দানে নেমেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু কোথায় তিনি? পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়া ইস্তক প্রকাশ্যে তাঁর দেখা কেউ পাচ্ছেনা। অথচ তিনি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকই নন, ভোট থেকে যে কোনও রকম আন্দোলনে তিনিই মমতার যাবতীয় যুদ্ধের ‘লেফট্যান্ট’। সেই মুকুল রায়কে নিয়ে দলের বাইরে তো বটেই, ভিতরেও সাধারণ নেতা-কর্মীরাও ধন্দে। সকলেরই প্রশ্ন, কোথায় তিনি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:১৮
Share:

দলের প্রায় সব নেতাই রাস্তায়। এমনকী, কালীঘাটের বাড়ি থেকে নবান্ন যাওয়ার পথে ময়দানে নেমেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু কোথায় তিনি? পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়া ইস্তক প্রকাশ্যে তাঁর দেখা কেউ পাচ্ছেনা। অথচ তিনি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকই নন, ভোট থেকে যে কোনও রকম আন্দোলনে তিনিই মমতার যাবতীয় যুদ্ধের ‘লেফট্যান্ট’। সেই মুকুল রায়কে নিয়ে দলের বাইরে তো বটেই, ভিতরেও সাধারণ নেতা-কর্মীরাও ধন্দে। সকলেরই প্রশ্ন, কোথায় তিনি?

Advertisement

এ দিন ময়দানে গোষ্ট পালের মূর্তির সামনে ক্রীড়াবিদদের ধর্না-অবস্থানে মমতা তো হাজির হয়েছেনই, ছিলেন দলের প্রথম সারির নেতা ও মন্ত্রীদের অনেকেই। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ বিশ্বাস, সরকারি মুখ্যসচেতক শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের ছোট-বড় সব নেতাই হাজির। এমনকী, মুকুল ঘনিষ্ট বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, শীলভদ্র দত্ত, শিফলি সাহাদেরও দেখা গিয়েছে ময়দানের মঞ্চে। কিন্তু তাঁর দেখা নেই। কোথায় তিনি? ফোনে অবশ্য এ দিনও অধরা মুকুল ধরা দিয়েছেন। ময়দানে ধর্না মঞ্চে আসেননি কেন? হেসে তিনি বলেন, “আরে দলের কাজটাও করতে হবে।” তিনি কোথায় আছেন? মুকুলের জবাব, ‘‘কেন কলকাতাতেই তো আছি।” দলীয় এক সূত্রের খবর, এ দিন সারাদিনই মুকুল নিজাম প্যালেসে ছিলেন। বিকেলে তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। কোথায় তা অবশ্য কেউ জানাতে পারেননি।

মদন গ্রেফতারের পর থেকেই মুকুল-অর্ন্তধান নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। দলের কেউ বলছেন, তিনি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত। কেউ বা জানাচ্ছেন, মেদিনীপুরে কর্মিসভার প্রস্তুতি নিয়ে তিনি ব্যস্ত। কেন এই লুকোছাপা? তৃণমূলের এক তরুণ সাধারণ সম্পাদক অবশ্য সাফ বলেন, “মুকুলদার খোঁজখবর জানানো যাবে না। দলীয় নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা আছে।” কেন এই নিষেধাজ্ঞা? ওই নেতার কথায়, “এটা দলের ব্যাপার। বলা যাবে না।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement