বহরমপুরের পরে নন্দীগ্রামে কংগ্রেসের সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। ২৮ নভেম্বর, নন্দীগ্রামে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে সভা হওয়ার কথা ছিল। প্রথমে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড-সহ চারটি জায়গার একটিতে সভার অনুমতি চায় কংগ্রেস। অনুমতি না পেয়ে নন্দীগ্রাম ব্লক কংগ্রেসের সভাপতির ব্যক্তিগত জমিতেই সভার প্রস্তুতি চলছিল। ব্লক সভাপতি-সহ ওই জমির ৩৬ শরিকের ৩৫ জন সভার অনুমোদন দেন। এক জনের আপত্তিকে ‘অস্ত্র’ করে প্রশাসন সভার অনুমতি দিচ্ছে না বলে কংগ্রেেসর অভিযোগ।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘যে জমিতে সভা হওয়ার কথা ছিল, সেই জমি নিয়ে একজন থানায় ডায়েরি করেছে। যে জমি নিয়ে বিতর্ক থাকে, সেখানে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয় না।’’
অধীরের মতে, ‘‘অনুমতি না পাওয়া আমাদের কাছে আত্মতৃপ্তির বিষয়! নন্দীগ্রামে তৃণমূল ছাড়া কোনও দলের অস্তিত্ব নেই বলে শাসক দলই দাবি করে! তবে কংগ্রেস সভা করতে চাইছে দেখে ওরা ভয় পাচ্ছে কেন?’’ প্রস্তাবিত সভার আগে সময় বেশি নেই। আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে সময় লাগলে সভা পিছোতে পারে। অধীরের কথায়, ‘‘দিন পাল্টাতে হলেও নন্দীগ্রামে কংগ্রেস যাবেই!’’