পুজোর পর টানা আন্দোলনে কংগ্রেস

আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ভাঙন-বিধ্বস্ত কংগ্রেস । সারদা, যাদবপুর কাণ্ড তো আছেই, সঙ্গে শাসক দলের সন্ত্রাসকে সামনে রেখে শুক্রবার শহিদ মিনার ময়দানে সমাবেশ করে প্রদেশ কংগ্রেস। সারদা-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ ও প্রতারিতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে পুজোর পর কংগ্রেস রাজ্য জুড়ে লাগাতার আন্দোলন শুরু করবে বলে ওই সমাবেশ থেকে অধীর চৌধুরী, মানস ভুঁইয়ারা ঘোষণা করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৫৭
Share:

শহিদ মিনারের সভায় অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মানস ভুঁইয়া। শুক্রবার সুদীপ্ত ভৌমিকের তোলা ছবি।

আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ভাঙন-বিধ্বস্ত কংগ্রেস ।

Advertisement

সারদা, যাদবপুর কাণ্ড তো আছেই, সঙ্গে শাসক দলের সন্ত্রাসকে সামনে রেখে শুক্রবার শহিদ মিনার ময়দানে সমাবেশ করে প্রদেশ কংগ্রেস। সারদা-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ ও প্রতারিতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে পুজোর পর কংগ্রেস রাজ্য জুড়ে লাগাতার আন্দোলন শুরু করবে বলে ওই সমাবেশ থেকে অধীর চৌধুরী, মানস ভুঁইয়ারা ঘোষণা করেছেন। কারণ, রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিক করতে আন্দোলনই একমাত্র দাওয়াই বলে মত দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকের।

দলে ভাঙন যে তাঁদের দুশ্চিন্তায় রেখেছে, এ দিনের সমাবেশে বিভিন্ন বক্তার বক্তৃতায় তার ইঙ্গিত মিলেছে। আজ, শনিবারই অধীর চৌধুরীর খাসতালুক বহরমপুরে সমাবেশ করে দলের প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেনের নিজের অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কর্মসূচি আছে। অধীরবাবু অবশ্য বিষয়টিকে প্রকাশ্যে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, “তিন মাস আগে যিনি কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়াই করলেন, শুনছি তিনি কংগ্রেস ছাড়ছেন। এর পিছনে নিজস্ব অভিসন্ধি থাকতে পারে। রাজনৈতিক কোনও ব্যাখ্যা নেই।”

Advertisement

দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সমাবেশে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রে মোদী সরকার আসার একশো দিনের মধ্যে বিভিন্ন উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সাফল্যের উল্লেখ করেন। প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “চিরদিনের জন্য কংগ্রেস দুর্বল হতে পারে না।” জঙ্গিপুরের সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় দলত্যাগীদের লক্ষ করে বলেন, “তৃণমূলের মতো ডুবন্ত জাহাজে উঠবেন না।” সোমেন মিত্রর অভিযোগ, “বাংলায় তৃণমূল এখন যা অত্যাচার করছে, সিপিএম-ও এত করেনি।” তবে তাকে গুরুত্ব না-দিয়ে তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের পাল্টা মন্তব্য, “৩৪ বছরের বাম আমলে সোমেনবাবুর উপর অত্যাচার হয়নি। অত্যাচার হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৎকালীন সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের উপর।”

চড়া রোদের মধ্যেও ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত অধীরবাবু বলেন, “মানুষ যে ভাবে আজ আমাদের সমাবেশে এসেছেন, তা দেখে আমরা অভিভূত।” আগামী বছর কংগ্রেস বিগ্রেডে সমাবেশ করবে বলেও তিনি এ দিন ঘোষণা করেন। তবে এ দিনের সমাবেশে গরহাজির দীপা দাশমুন্সি, শঙ্কর সিংহ, আব্দুল মান্নানের মতো নেতারা। মান্নান তো অধীরবাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ দিন বলেন, “উনি আমাদের যোগ্য সম্মান দেন না। তাই ওঁর কর্মসূচিতে আমি নেই।” অধীরবাবু অবশ্য বলেন, “প্রবীণ নেতারা যদি এ সব বলেন, তা নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন