আক্রমণাত্মক রাহুল সিংহ। স্বরূপনগরে নির্মল বসুর তোলা ছবি।
তৃণমূল আসার পরে এ রাজ্যে ধর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। পাশাপাশি তাঁর দাবি, বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এ রাজ্যে ধর্ষণ হবে না।
রবিবার স্বরূপনগরের মালঙ্গপাড়ার সভায় রাহুলবাবু বলেন, “ধর্ষণ এ রাজ্যে বাড়বে না-ই বা কেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজে ধর্ষকদের উত্সাহিত করছেন। সে কারণেই তো তিনি ধর্ষিতাকে তিরিশ হাজার টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চাইছেন। কিন্তু বিজেপি এ রাজ্যে আসার পর ধর্ষণ হবে না।” রাহুলবাবুর আশ্বাস, তাঁরা রাজ্যে ক্ষমতায় এলে মেয়েরা স্বামী বা বন্ধুদের সঙ্গে নিশ্চিন্তে ঘুরতে পারবেন। বাবা-মাকে কোনও চিন্তা করতে হবে না।
ভোট এখনও বেশ কয়েক দিন দেরি। কিন্তু প্রচারের শেষ লগ্নেও বিজেপি-র একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বলে মনে করছেন রাহুল সিংহ। সিপিএম এবং কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া অর্থহীন বলে মনে করেন তিনি। তৃণমূলের একের পর এক অন্যায় বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, “হাওয়াই চটি দেখে মানুষ ধোঁকা খেয়েছে। সেই হাওয়াই চটির ভিতরেই লুকানো ছিল সারদার টাকা।” এ দিন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে রাহুলবাবু বলেন, “এক মমতাকে নিয়ে যখন রাজ্যবাসী অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তখন অন্য এক মমতা যে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয় এমন একটি স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ বলে মিথ্যা দাবি করছেন। নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে যিনি প্রথমেই মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন, জয়ী হলে তিনি কী কাজ করবেন মানুষের জন্য।”
ভোটের আগে শেষ রবিবারের প্রচারে তৃণমূল এবং বিজেপি দু’পক্ষই বহু নেতা-নেত্রীকে হাজির করেছিল ভোটের প্রচারে। তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এ দিন বনগাঁর কালুপুরে প্রচারের কথা থাকলেও আসেননি তিনি। দলের তরফে জানানো হয়, অসুস্থতার জন্যই গরহাজির থেকেছেন পার্থবাবু। হেভিওয়েট নেতার দেখা না পেয়ে ক্ষুণ্ণ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
এ দিন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী গিয়াসু্দিন মোল্লাকে বনগাঁর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে পাঠানো হয়েছিল। ফুটবলার অধুনা সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন বাগদায়। এ ছাড়াও সাংসদ সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, ইন্দ্রনীল সেন, মন্ত্রী জ্যোতির্ময় করও সভা করেছেন।
বিজেপির তরফে এ দিন গোপালনগরের বর্ধনবেড়িয়ায় সভা করেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী দেবিকা মুখোপাধ্যায়। গাইঘাটার ধর্মপুরে সভা করেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাকিল আনসারি।