ইস্তফাপত্র লিখছেন শিখা। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
শেষ পর্যন্ত বিধায়ক-পদ ছেড়েই দিলেন শিখা মিত্র। দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজকর্মের জন্য তৃণমূল তাঁকে আগেই সাসপেন্ড করেছিল। যদিও শিখার দাবি, সাসপেনশনের চিঠি তাঁর কাছে পৌঁছয়নি। এ বার লোকসভা ভোটে শিখার চৌরঙ্গি বিধানসভা এলাকায় ‘লিড’ পেয়েছেন তাঁর স্বামী, কংগ্রেস প্রার্থী সোমেন মিত্র। তার পরেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিখা।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সোমবার পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন শিখা। ইস্তফা দেওয়ার পরে তাঁর বক্তব্য, “দমবন্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হলাম! উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলাম না। তোলা তুলতে আমি আসিনি!” লোকসভা ভোটে তৃণমূল বিপুল সাফল্য পাওয়ার পরেও শাসক দল সম্পর্কে তাঁর মনোভাব বদলায়নি বলেও জানিয়েছেন শিখা। উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সোমেনবাবু এ বার চৌরঙ্গি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে ১৫৪৮ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। এর পরে সেখানে উপনির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়াতে চান কি না, মন্তব্য করতে চাননি শিখা। তাঁর কথায়, “আপাতত যে স্বস্তি পেলাম, সেটা ক’দিন উপভোগ করি!” তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও শিখার ব্যাপারে নতুন করে মন্তব্য করতে চাননি। তবে এক মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, “যা গেছে, তা যাক!”
লোকসভার সঙ্গেই অনুষ্ঠিত বিধানসভা উপনির্বাচনে পাঁচটি আসন জেতায় তৃণমূলের বিধায়ক-সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ১৯১। শিখা সরে যাওয়ায় এখন সেই সংখ্যা দাঁড়াল ১৯০-এ। লোকসভা ভোটে সাফল্যের জেরে তৃণমূল শিবির এখন যথেষ্টই উজ্জীবিত। এই অবস্থায় ৬ জুন থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার দফাওয়াড়ি অধিবেশন। উৎসাহের আতিশয্যে দলীয় বিধায়কেরা সেখানে যাতে বিরোধীদের প্রতি কোনও অপ্রীতিকর আচরণ না করেন, তার জন্য সতর্ক থাকতে বলছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।