নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি হুমকি দিল তৃণমূল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, ভোট গণনা স্থগিতের সিদ্ধান্ত বদলাতেই হবে। না হলে মঙ্গলবার আবার ঘিরে ফেলা হবে কমিশনের দফতর। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন বলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার মন্তব্য করেছেন।
এ দিন সকাল ১০টা থেকেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ধর্না শুরু করে। দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সী, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন কলকাতার তৃণমূল কাউন্সিলররাও। ধর্না চলাকালীনই তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। দীর্ঘ বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভোট গণনা স্থগিতের সিদ্ধান্ত যদি কমিশন প্রত্যাহার না করে, তা হলে আরও বড় আন্দোলন হবে। মঙ্গলবার ফের বিক্ষোভ শুরু হবে নির্বাচন কমিশনের দফতরে।’’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচন এবং অন্যান্য জেলার পঞ্চায়েত উপনির্বাচনের ভোট গণনা যদি স্থগিত না হয়, তা হলে বিধাননগর, আসানসোল ও বালির গণনা স্থগিত করা হবে কেন? প্রশ্ন পার্থবাবুর। তিনি ঘোষণা করেন, যতক্ষণ না কমিশন জানাচ্ছে যে সব এলাকার ভোট গণনা ৭ অক্টোবরই হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। সোমবার কমিশনের দফতর যতক্ষণ খোলা থাকবে, ততক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ জারি থাকবে বলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান। তাঁর আরও ঘোষণা, বামেদের তৈরি করা অশান্তির প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূল। সেই মিছিল শেষ হওয়ার মধ্যে যদি নির্বাচন কমিশন গণনা স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তা হলে মিছিলের মুখ ঘুরে যাবে নির্বাচন কমিশনের দিকে।