আজ, বুধবার ও আগামিকাল বৃহস্পতিবার তিনি ‘দলীয় কাজে’ নয়াদিল্লিতেই থাকবেন। আপাতত ঠিক হয়েছে, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সারদা মামলার শুনানি শেষ করে তিনি কলকাতা ফিরবেন। শুক্রবারের আগে মুকুল রায় সিবিআই দফতরে হাজির হতে পারবেন না বলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি।
মুকুলবাবুর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার মঙ্গলবার জানান, গত সপ্তাহে তৃণমূল নেতার তরফে সিবিআই-কে চিঠি দিয়ে হাজিরার জন্য ১৪ দিনের সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সিবিআই তা মানেনি। তারা পাল্টা চিঠি দিয়ে চলতি সপ্তাহের মধ্যে যে কোনও দিন মুকুলবাবুকে হাজির হতে বলেছিল। মুকুলবাবু সেটাই করবেন। দিল্লিতে মুকুলবাবু বলেন, “আমাকে তো কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি! আমি অবশ্যই যাব। আমি আইন মেনে চলা নাগরিক। তবে দিল্লিতে রাজনৈতিক কিছু কাজ রয়েছে। তা ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে আমরা যে মামলা করেছি, তার শুনানি রয়েছে ২২ জানুয়ারি। সে সব শেষ করে যাব।”
রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে মুকুলবাবু যদি চলতি সপ্তাহে সিবিআই দফতরে হাজির না হন, তা হলে কি হবে? সিবিআইয়ের এক অফিসার বলেন, “আমরা ওঁকে নতুন করে নোটিস পাঠাব।” তখনও যদি মুকুল রায় হাজির না হন তা হলে সিবিআই কী পদক্ষেপ করতে পারে? ওই অফিসার বলেন, “এর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেই অনুযায়ীই আমরা ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে নোটিস পাঠানো হবে।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, এ দিনই মুকুলের দিল্লি থেকে কলকাতা আসার কথা ছিল। ঠিক ছিল, এ দিন বিমানবন্দর থেকে তিনি সোজা চলে যাবেন সিবিআই দফতরে। নয়তো বুধবার দেখা করবেন। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমানটি কলকাতায় এসেছে, তার যাত্রী তালিকায় মুকুলের নামও ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি কলকাতায় ফেরা স্থগিত রাখেন। জানা যায়, মুকুলবাবু দলের কাজে দিল্লিতে আটকে পড়েছেন।