মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখছেন ছাত্রীর বাবা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রীর উপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তাল হয়েছে, তাঁর বাবা মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের উপরই আস্থা রাখছেন। তিনি সোমবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তাঁর আস্থার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:১৬
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রীর উপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তাল হয়েছে, তাঁর বাবা মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের উপরই আস্থা রাখছেন। তিনি সোমবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তাঁর আস্থার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

ছাত্রীর বাবা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তিনি সন্তুষ্ট। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিকতার সঙ্গে আমার কথা শুনলেন। উনি বলেছেন, আমার মেয়ের উপর যারা অন্যায় করেছে, তারা শাস্তি পাবে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যখন আশ্বাস দিয়েছেন, তখন তাঁর কথায় ভরসা রাখতেই হবে।”

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আগে ছাত্রীটির বাবা-কাকা-জেঠা বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। রবিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডাকে নিয়ে পার্থবাবু ছাত্রীটির বাড়িতে যান। তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন। তাঁর মেয়ের অভিযোগ ঘিরে যাদবপুরে যে অচলাবস্থা হয়েছে, তা স্বাভাবিক করার আবেদনও জানান বাবা। মেয়ো রোডে তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সন্তানসম। আমার মেয়ের জন্য যারা আন্দোলন করছে, তাদের কাছে আবেদন, তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাও। পড়াশুনো শুরু করো।”

Advertisement

এর আগে অবশ্য উপচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর ইস্তফা চেয়েছিলেন ছাত্রীটির বাবা। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে তিনি বলেন, “যখন উপাচার্যের কাছে গিয়েছিলাম, তখন তদন্ত ঢিলেঢালা ভাবে চলছিল। সুবিচার পাচ্ছিলাম না। এখন মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়েছি। আমি সন্তুষ্ট।” তৃণমূলের ছাত্র সমাবেশ থেকে তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেন এবং তাঁদের মেয়ের উপর নির্যাতনের তদন্তে সরকারি কমিটির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement