মাতঙ্গ কাণ্ডে জড়ালেন এক আইপিএস-ও

একা অনিল গোস্বামী নন। সারদা কেলেঙ্কারিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাতঙ্গ সিংহের গ্রেফতারি ঠেকানোর চেষ্টায় নাম জড়াল এক উচ্চপদস্থ আইপিএস অফিসারেরও। সরকারি সূত্রের খবর, ওই আইপিএস পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের। সিবিআই এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:২৫
Share:

এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে আসছেন মাতঙ্গ সিংহ। বৃহস্পতিবার সুদীপ আচার্যের তোলা ছবি।

একা অনিল গোস্বামী নন। সারদা কেলেঙ্কারিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাতঙ্গ সিংহের গ্রেফতারি ঠেকানোর চেষ্টায় নাম জড়াল এক উচ্চপদস্থ আইপিএস অফিসারেরও। সরকারি সূত্রের খবর, ওই আইপিএস পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের।

Advertisement

সিবিআই এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। পাশাপাশি অনিল গোস্বামী এবং ওই আইপিএস অফিসার সিবিআইয়ের অফিসারদের কী ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন, তার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাতঙ্গের গ্রেফতারি ঠেকাতে কাকে ফোন করা হয়েছিল, তাঁরা ফোন পাওয়ার পরে কী করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে ফোনে কথাবার্তার রেকর্ডও।

মাতঙ্গের গ্রেফতারি ঠেকানোর চেষ্টা করায় গতকালই অনিল গোস্বামীকে স্বরাষ্ট্রসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাঁর পক্ষে আর পদে থাকা সম্ভব নয় বুঝতে পেরে তিনি নিজেই আগাম স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে নেন। কিন্তু তা বলে অনিলের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের তদন্ত বন্ধ হচ্ছে না। একই ভাবে ওই আইপিএস অফিসারের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। সিবিআই সূত্রের খবর, ওই আইপিএস অফিসার প্রথমে মাতঙ্গকে কলকাতার বদলে দিল্লিতে জেরা করার জন্য সিবিআইকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। পরে মাতঙ্গের গ্রেফতারি ঠেকানোর চেষ্টাও করেছিলেন তিনি।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের ওই আইপিএস অনিল গোস্বামীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তিনি এখন একটি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীতে রয়েছেন। কিছু রাজনীতিকের নির্দেশে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব ওই আইপিএসকে এক কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে অন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে দুই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনও বোধ করেননি অনিল গোস্বামী। সিবিআইয়ের একটি সূত্র বলছে, মাতঙ্গ সিংহ সিবিআইয়ের জেরার মুখে দিল্লির এক উচ্চপদস্থ আমলার সঙ্গে কথা বলতে চান।

তাঁকে সিবিআইয়ের ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। মাতঙ্গ অনিলকে ফোন করলে দু’জনের কথাবার্তা রেকর্ড করা হয়। অনিলের বিরুদ্ধে ওই কথাবার্তার রেকর্ডই বড় প্রমাণ হয়ে দাঁড়ায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু আজ বলেন, “গোস্বামী ভাল প্রশাসক ছিলেন। কিন্তু এই কাজ নিন্দনীয়।”

এ দিকে, আজ সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ মাতঙ্গ সিংহকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে আলিপুর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে জেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement