বনগাঁ লোকসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি নিয়ে রবিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তের সঙ্গে দেখা করল বিজেপি। একই সঙ্গে জানাল, মমতাবালার প্রার্থী পদ বাতিল করাতে আদালতেরও দ্বারস্থ হবে তারা।
পক্ষান্তরে, বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরের প্যান কার্ড নেই এই অভিযোগ করে তাঁর প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি তুলেছে তৃণমূল।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এ দিন সুনীলবাবুর সঙ্গে দেখা করে। রাহুলবাবু শনিবার অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় মমতাবালা তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এ দিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ওই অভিযোগই জানিয়ে মমতাবালার প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। পরে রাহুলবাবু বলেন, “মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আমাদের বলেছেন, রিটার্নিং অফিসার অভিযোগ পেলে অভিযুক্তকে শো-কজ করবেন। তার মানে, রিটানির্ং অফিসারের কাছে মমতাবালা ঠাকুরকে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র দিতে হবে। উনি তা দিয়ে দেখান!” নির্বাচন কমিশনের তরফে অবশ্য বিজেপি-র অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
রাহুলবাবুর অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের যে স্কুলে মমতাবালা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন বলে হলফনামায় দাবি করেছেন, সেখানে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়। মমতাবালা অবশ্য বিজেপি-র অভিযোগকে কোনও আমলই না দিয়ে বলেন, “১৬ তারিখ ওঁরা জবাব পাবেন।” ১৬ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন।
মমতাবালার বিরুদ্ধে বিজেপি কমিশনে যাওয়ায় তৃণমূলও সুব্রতর প্রার্থী পদ বাতিল করাতে সক্রিয় হয়েছে। তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে হলফনামা জমা দিতে হয়। সুব্রত ঠাকুরের সেই হলফনামায় প্যান কার্ডের জায়গায় ‘নিল’ লেখা ছিল। সে কারণে তাঁর প্রার্থী পদ বাতিল করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাব।”
প্যান কার্ড না থাকা সত্ত্বেও সুব্রত ১২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার একটি গাড়ি কিনেছেন বলেও জ্যোতিপ্রিয়র অভিযোগ। সুব্রত অবশ্য গাড়ি বা প্যান কার্ড সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কিছু বলেননি।