ফের তোলাবাজির অভিযোগ জামুড়িয়ায়। শ্যাম গোষ্ঠীর কারখানার পরে এ বার অভিযোগ করল স্পঞ্জ আয়রন কারখানা সত্যম স্মেলটার। সিন্ডিকেটের নাম করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল যে তিন জনের বিরুদ্ধে, এলাকায় তাঁরা শ্যাম সেল-কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অলোক দাসের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
মঙ্গলবার রাতে ইকড়া শিল্পতালুকের ওই কারখানার কর্তা শিবকুমার ডালমিয়া জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ করেন, তাঁদের কারখানা থেকে এক ঠিকাদার মাল কিনে লরিতে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কারখানা চত্বর থেকে বেরোতেই লরি আটকান হরিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, অরুণ আচার্য ও মুক্তি চট্টোপাধ্যায় নামে তিন জন। তাঁরা লরি চালককে জানান, তাঁদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এখান থেকে জিনিস কিনে নিয়ে যেতে হলে তাঁদের টাকা দিতেই হবে। টনপিছু তাঁরা কুড়ি টাকা করে দাবি করেন। ওই ঠিকাদার তখন কারখানা কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন। এর পরেই পুলিশে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। তবে কারখানার দেওয়া অভিযোগপত্রটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে কি না, জানাতে চায়নি পুলিশ। গত ১৬ জুলাই শ্যাম গোষ্ঠীর কারখানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পরে এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ। সোমবার শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। শ্যাম-কাণ্ডে পুলিশের এই ভূমিকা তোলাবাজিতে সাহস জুগিয়েছে বলে অভিযোগ।
সত্যমের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অলোকবাবুও ফোন ধরেননি। তবে এই শিল্পাঞ্চলের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, “ওই এলাকা থেকে আগে কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। আমাদের কেউ যুক্ত থাকলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।”
এ দিকে, অলোকবাবু এ দিন আইনজীবী মারফত শ্যাম সেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে কীসের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনা হয়, তার জবাব দাবি করেছেন। কারখানার আধিকারিক সুমিত চক্রবর্তী জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন কোনও নোটিস পাননি।