শেখ সুফিয়ানকে শো-কজের সিদ্ধান্ত

দল-বিরোধী কাজের অভিযোগে এ বার নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিল ব্লক তৃণমূল কমিটি। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খড়গপুরে কর্মিসভা করার কথা। তার ঠিক আগে নন্দীগ্রাম আন্দোলন-পর্বে দলের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠা শেখ সুফিয়ানকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে জেলা তৃণমূলে। ফের সামনে এসেছে শাসক দলের অন্দরের গোষ্ঠী-কোন্দলের ছবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৫০
Share:

দল-বিরোধী কাজের অভিযোগে এ বার নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিল ব্লক তৃণমূল কমিটি। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খড়গপুরে কর্মিসভা করার কথা। তার ঠিক আগে নন্দীগ্রাম আন্দোলন-পর্বে দলের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠা শেখ সুফিয়ানকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে জেলা তৃণমূলে। ফের সামনে এসেছে শাসক দলের অন্দরের গোষ্ঠী-কোন্দলের ছবি।

Advertisement

নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল সোমবার জানান, ব্লক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সম্প্রতি দুর্নীতিমূলক কাজ ও দলের বিরুদ্ধাচরণ করার অভিযোগে সামসাবাদ পঞ্চায়েতের প্রধান অতনু জানার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। মেঘনাদবাবুর দাবি, “অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে দলকে সাহায্য না করে পঞ্চায়েত প্রধানকে মদত দিয়েছিলেন শেখ সুফিয়ান। এ দিন দলের ব্লক কমিটির কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনার পরে ওঁকে শো-কজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি, পঞ্চায়েতের কাজে দুর্নীতি ও দল-বিরোধী কাজের অভিযোগে সুফিয়ান-ঘনিষ্ঠ সামসাবাদ পঞ্চায়েতের প্রধান অতনু জানাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

শেখ সুফিয়ানের বক্তব্য, “ব্লক কমিটির এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। কারণ, আমি দলের জেলা ও রাজ্য কমিটির সদস্য। জেলা পরিষদের পদাধিকারী হিসেবে আমি দলের ব্লক কমিটির সদস্য। দল-বিরোধী কাজের অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদি ব্লক আমাকে শো-কজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তবে এ বিষয়ে দলনেত্রীকে জানাব।” মেঘনাদবাবু অবশ্য বলছেন, “উনি ব্লক কমিটির সদস্য। তাই ব্লক কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিতেই পারে।”

Advertisement

দলের অন্দরের এই কোন্দল নিয়ে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, “এ বিষয়ে জানি না। তাই মন্তব্য করব না।” একই বক্তব্য জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ শিশির অধিকারীরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement