আলু, ধান পেরিয়ে ফুলকপি— পরপর ফসলে ক্ষতির জেরে একের পর এক চাষির আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান জেলায়। সেই জেলায় এক সভায় এসে শনিবার রাজ্যের কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না দাবি করলেন, এ রাজ্যে চাষিরা সুখে রয়েছেন। চাষি আত্মহত্যার কথা কল্পনাপ্রসূত।
কালনা ২ ব্লকের সিঙ্গেরকোনে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী সংগঠনের ১৭তম জেলা সম্মেলনে এসেছিলেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাম আমলে ১৩০০ চাষি আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার পরে নানা তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কী ভাবে বর্তমান রাজ্য সরকার চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁর দাবি, ৬৮ লক্ষ চাষিকে কিসান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। তাই এখন আর চাষিদের স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে চড়া সুজে মহাজনের থেকে টাকা ধার নিতে হয় না। চাষের আগে চাষির ঘরে পৌঁছে যায় উন্নত বীজ। শুধু নিজের দফতর নয়, রাজ্য সরকারের অন্য নানা দফতরের কাজের খতিয়ানও আউড়ে যান মন্ত্রী। সঙ্গে যোগ করেন কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ। তারই ফাঁকে তিনি দাবি করেন, স্বামী-স্ত্রীর গোলমালের জেরে আত্মহত্যার ঘটনাকেও ফসলের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই সরকারের আমলে বর্ধমান-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী কৃষক আত্মহত্যার কথা স্বীকার করেন না, তাই তাঁর পারিষদেরাও মানতে চান না।’’