স্নাতকের ফলাফল আটকে, সংশয়ে ছাত্রভোট

দেশজোড়া এক ভোটের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। পরে সেই পরীক্ষা হলেও তার ফল না-বেরোনোয় অন্য এক ভোট নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কায় পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছিল এক মাসেরও বেশি। তার জেরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বিএসসি, বিকম পার্ট ওয়ান জেনারেল পরীক্ষার ফল এখনও বেরোয়নি। আগামী জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে তা বেরোনোর সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০৬
Share:

দেশজোড়া এক ভোটের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। পরে সেই পরীক্ষা হলেও তার ফল না-বেরোনোয় অন্য এক ভোট নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কায় পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছিল এক মাসেরও বেশি। তার জেরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বিএসসি, বিকম পার্ট ওয়ান জেনারেল পরীক্ষার ফল এখনও বেরোয়নি। আগামী জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে তা বেরোনোর সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ।

এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ছাত্র সংসদের নির্বাচন সম্পন্ন হবে কী করে? কারণ, পরীক্ষার ফল না-বেরোলে ভোটার তালিকা তৈরি করা যাবে না। আবার সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েই ছাত্র সংসদের নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত ফল প্রকাশের দাবি জানান তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপি-র প্রতিনিধিরা।

Advertisement

অন্যান্য বছর সাধারণ ভাবে অগস্টেই পার্ট ওয়ান জেনারেলের পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু মূলত লোকসভার ভোটের জন্য এ বার তা চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এ দিন জানান, একেই তো সাধারণ নির্বাচনের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছিল। তার উপরে মাঝখানে পুজোর ছুটি পড়ে যাওয়ায় বন্ধ ছিল কলেজগুলিও। অথচ জেনারেল পরীক্ষার খাতা কয়েকটি কলেজে ভাগ করে দেখা হয়। এখনও খাতা দেখাই শেষ হয়নি। “এই জোড়া কারণে ফলপ্রকাশে দেরি হচ্ছে,” দেরির ব্যাখ্যা দিলেন উপাচার্য।

সুরঞ্জনবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব খাতা দেখার কাজ মিটিয়ে ফেলে ফলপ্রকাশের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “আগামী সপ্তাহে বিকমের ফল বেরিয়ে যাবে বলে আশা করছি। তবে বিএ, বিএসসি-র ফল বেরোতে জানুয়ারি হয়ে যাবে।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বিএ, বিএসসি, বিকম মিলিয়ে পার্ট ওয়ান জেনারেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লক্ষ ৮০ হাজার। ফল বেরোতে দেরি হওয়ায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা তৈরি করা যাচ্ছে না বলে জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, “কে পাশ করে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হল আর কে-ই বা ফেল করল, সেটা তো ফল না-বেরোলে বোঝা যাবে না। ফলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য ছাত্রছাত্রীদের নাম নথিভুক্তির কাজ শুরুই করা যাচ্ছে না।”

এ দিকে, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ছাত্রভোটের দিন স্থির করে ফেলেছেন। প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ১৭ জানুয়ারি। কিন্তু পরীক্ষার ফল বেরোতে দেরি হওয়ায় নির্ঘণ্ট মেনে নির্বাচন করা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছেন, নির্ঘণ্ট মেনে ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই ভোট করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন