সীমান্তে বাড়ছে সোনা পাচার, উদ্বিগ্ন বিএসএফ

সীমান্তের দুই জেলার তিনটি জায়গা থেকে প্রায় ২.৮ কিলোগ্রাম সোনা-সহ এক বাংলাদেশি এবং এক ভারতীয়কে শনিবার আটক করলেন বিএসএফ জওয়ানেরা। বিএসএফ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ কামালউদ্দিন (৪৫) এবং সাদ্দাম সর্দার (২২)। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৬টি সোনার বিস্কুট-সহ এক বাংলাদেশিকে এ দিন সকালে আটক করেন বিএসএফের ৪০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৪ ০৪:০৪
Share:

শনিবার পেট্রাপোল সীমান্তে আটক মহম্মদ কামাল। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

সীমান্তের দুই জেলার তিনটি জায়গা থেকে প্রায় ২.৮ কিলোগ্রাম সোনা-সহ এক বাংলাদেশি এবং এক ভারতীয়কে শনিবার আটক করলেন বিএসএফ জওয়ানেরা। বিএসএফ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ কামালউদ্দিন (৪৫) এবং সাদ্দাম সর্দার (২২)।

Advertisement

প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৬টি সোনার বিস্কুট-সহ এক বাংলাদেশিকে এ দিন সকালে আটক করেন বিএসএফের ৪০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা। বিএসএফ সূত্রের খবর, বাংলাদেশি ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ কামালউদ্দিন। এ দিন তাকে আটক করে প্রায় ৭০০ গ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে, জুতোর ভিতরে করে ওই সোনাগুলি সে এ দেশে পাচার করার চেষ্টায় ছিল। বিএসএফের ৪০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডিং অফিসার বরজিন্দর সিংহ জানান, কামালউদ্দিন নামের ওই বাংলাদেশি বেনাপোলে ‘ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং’ এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ দিন তাকে আটক করে যে সোনা উদ্ধার হয়েছে, তার আনুমানিক মূল্য (ভারতীয় মুদ্রায়) প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।

বিএসএফের দাবি, ধৃতের বাড়ি বাংলাদেশের যশোহর জেলার বিনপোল থানার আচড়া গ্রামে। এর আগেও সে পেট্রাপোল বন্দরে সোনা পাচার করেছিল।

Advertisement

অন্য একটি ঘটনায় এ দিন স্বরূপনগরের কাছে তারালি সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ১.৭ কিলোগ্রাম সোনা-সহ এক ভারতীয় যুবককে আটক করেছে বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রের খবর, তার নাম সাদ্দাম সর্দার। বাড়ি স্বরূপনগর থানা এলাকার উত্তরপাড়া গ্রামে। এ দিন বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ তারালি সীমান্ত এলাকায় সাদ্দামকে ১৫টি সোনার বিস্কুট-সহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন জওয়ানেরা।

নদিয়াতেও এ দিন প্রায় ৪৭৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার করেছে বিএসএফ। মাধোপুর সীমান্ত লাগোয়া বন্দরে দুপুর পৌনে একটা নাগাদ জওয়ানেরা দেখেন বাংলাদেশের দিক থেকে একটি কাগজে মোড়া প্যাকেট ছুড়ে পালাচ্ছে এক ব্যক্তি। কিন্তু সেটা কেউ নিতে আসেনি। এই ঘটনা দেখে জওয়ানদের সন্দেহ হয়। এর পরেই তাঁরা প্যাকেটটি খোলেন এবং ভিতর থেকে দু’টি সোনার বাট উদ্ধার করেন। যে ব্যক্তি প্যাকেট ছুড়েছিল, তাকে ধরা যায়নি।

সম্প্রতি সড়কপথে বাংলাদেশ দিয়ে এ দেশে সোনা পাচারের ঘটনায় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বেশ চিন্তিত। বিএসএফের এক কর্তা জানিয়েছেন, পাচারের কাজে মেয়েদের ব্যবহার করা হচ্ছে দেখে সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মহিলা জওয়ানও নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও সোনা পাচারের ঘটনায় যে রাশ টানা যায়নি, এ দিনের তিনটি ঘটনা তা-ই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন