তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। রাহুল গাঁধীর কর্মিসভার জন্য। সোমবার শহিদ মিনার ময়দানে। নিজস্ব চিত্র।
ভোট যুদ্ধে দলীয় প্রার্থী ও কর্মীদের রণকৌশলের দিশা দিতে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী আজ, মঙ্গলবার এ রাজ্যে আসছেন। সকাল ১১টা নাগাদ ডুয়ার্সের মেটেলির জুরান্তিতে কর্মিসভা করে তাঁর যাওয়ার কথা ত্রিপুরায়। বিকেলে কলকাতার শহিদ মিনার ময়দানে কর্মিসভার কর্মসূচি আছে।
রাহুলের সভা থেকে কর্মীরা আরও উৎসাহ নিয়ে লড়ার মনোবল পাবেন বলেই আশা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। তাঁর বক্তব্য, “বাংলার মাটিতে কংগ্রেস যে একক ভাবে লড়াই করছে, এ কথা রাহুল কর্মীদের সামনে বলবেন। তাঁর উপস্থিতিতে আমাদের কর্মীরা আরও উজ্জীবিত ও উদ্দীপ্ত হবেন বলেই আশা করি।” জনকল্যাণে কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার কোন কোন প্রকল্প নিয়েছে, তা প্রচারের হাতিয়ার করার পরামর্শও তিনি দিতে পারেন।
মেটেলির সভায় উত্তরবঙ্গের এবং শহিদ মিনারে দক্ষিণবঙ্গের প্রার্থী-কর্মীরা থাকবেন। দু’জায়গাতেই মাইক বিধির কারণে ঘেরা জায়গায় সভা হবে। লালবাজার সূত্রের খবর, আজ বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ আগরতলা থেকে দমদম বিমানবন্দরে নামার কথা রাহুলের। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে যাবেন রেস কোর্সের কাছে আরসিটিসি হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে শহিদ মিনার ময়দান। কর্মিসভা সেরে অবশ্য সড়ক পথে বিমানবন্দরে যাবেন তিনি। কড়া নিরাপত্তাবলয়ে ঘেরা শহিদ মিনারের সভায় দলের বিদায়ী সাংসদের পাশাপাশি রাজ্যসভার সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব থাকবেন। পাশের একটি মঞ্চে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এ বারের লোকসভার ৪২ জন দলীয় প্রার্থীর।
রাহুলের কলকাতায় আসার ২৪ ঘণ্টা আগে তৃণমূল ছেড়ে সোমবার হুগলি এবং কলকাতার বেশ কিছু কর্মী কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় বিধান ভবন উজ্জীবিত। তাঁরা বর্ষীয়ান নেতা সোমেন মিত্রর ঘনিষ্ঠ বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। বিধান ভবনে অধীর, সোমেনবাবুদের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে ফিরে আসার পরে ছাত্র নেতা শৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “পাঁচ বছর আগে বিভ্রান্ত হয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য ফের কংগ্রেসে ফিরে এলাম।” পুরনো কর্মীদের দলে স্বাগত জানিয়ে অধীরও বলেন, “এরাই গত পাঁচ বছর ধরে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিলেন। এ বার প্রমাণিত, পরিবর্তনের বদলে প্রত্যাবর্তন, আজকের বাংলার নয়া সমীকরণ।” লোকসভা ভোটে এই কর্মীদের যথাযথ দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।