পিত্জা দেয়নি মা, বাড়ি থেকে বের করে দিল ছোট্ট ছেলে

বয়স ১১। এই বয়সেই ভয়ানক রাগী সে। আর সে রাগ এমনই বাঁধনছাড়া যে বাবা-মাকেও বাড়ি থেকে বের করে দিতে পিছ-পা নয় খুদে। তার এই পদক্ষেপের কারণ পিত্জা! কয়েক টুকরো পিত্জাই মা-বাবা আর ছেলের মধ্যে বিরোধের পাঁচিল তৈরি করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৫ ১৪:০৪
Share:

ক্ষমতাধর পিত্জা! ছবি: এএফপি।

বয়স ১১। এই বয়সেই ভয়ানক রাগী সে। আর সে রাগ এমনই বাঁধনছাড়া যে বাবা-মাকেও বাড়ি থেকে বের করে দিতে পিছ-পা নয় খুদে। তার এই পদক্ষেপের কারণ পিত্জা! কয়েক টুকরো পিত্জাই মা-বাবা আর ছেলের মধ্যে বিরোধের পাঁচিল তৈরি করে।

Advertisement

দিন দুয়েক আগের ঘটনা। দুপুরে লাঞ্চে মায়ের কাছে পিত্জা খাবে বলে বায়না জুড়েছিল লন্ডনের ওই খুদে। কিন্তু, মা তা দিতে নারাজ। ফাস্টফুডের জেরে পুষ্টিকর খাবার ছেলের মুখে রোচে না। এই ছিল মায়ের যুক্তি। ছেলেও নাছোড়বান্দা। প্রথমে কান্নাকাটি, তার পর গলা ফাটিয়ে চিত্কার— বায়না আদায়ের যাবতীয় পদ্ধতি প্রয়োগ করেও ফল মেলেনি। শেষে রেগে গিয়ে চুপ করে যায় সে। কিন্তু, তার মাথায় যে এত ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা রয়েছে তাই বা কে জানত!

খাওয়াদাওয়া পর্ব মিটলে ওই দম্পতি ছেলেকে বাড়িতে রেখে কাজে বেরোন। ‘লক্ষ্মী’ ছেলেও সদর দরজা বন্ধ করে দেয়। বিপত্তি ঘটে মা-বাবা বাড়ি ফেরার সময়। ছেলে সটান জানিয়ে দেয় বাবা-মাকে বাড়িতে ঢুকতে দেবে না সে। তাকে লাঞ্চে পিত্জা তৈরি করে না দেওয়ার ‘অপরাধে’ তাদের বাড়ির বাইরেই থাকতে হবে। কাকুতি-মিনতি, সাধ্য সাধনার পালা এ বার বাবা-মায়ের। বন্ধ দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁরা ছেলের কাছে ‘ক্ষমা’ চান। বাড়িতে ঢুকতে দেওয়ার জন্য ক্রমাগত অনুরোধ করতে থাকেন। ছেলেও বাড়ির ভেতর থেকে সমানে তর্ক করে যায়। নিরুপায় হয়ে বাবা-মা স্থানীয় পুলিশে খবর দেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে দু’তরফের বিরোধ মেটাতে তত্পর হয়। বারান্দার দরজা দিয়ে ওই নাবালকের সঙ্গে রীতিমতো দর কষাকষি করতে থাকেন পুলিশ কর্তারা। তাঁদের কথায় রাজি হয়ে বাবা-মাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয় ছেলে। পিত্জার অপার ক্ষমতা!

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন