আফগানিস্তানে ফের আঘাত হানল তালিবান। আফগান নিরাপত্তাবাহিনী ও মার্কিন কম্যান্ডোদের উপরে হামলায় শুক্রবার নিহত হয়েছিলেন ৫১ জন। আর গত কাল গভীর রাতে উত্তর কুন্দুজ প্রদেশে আত্মঘাতী হানায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। আফগানিস্তানে তালিবান ও আশরফ ঘানি সরকারের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া ক্রমশই ঠান্ডা ঘরে চলে যাচ্ছে বলে ধারণা কূটনীতিকদের।
উত্তর কুন্দুজের প্রশাসনিক কর্তা হেয়াতুল্লা আমিরি জানিয়েছেন, গত কাল খান আবাদ এলাকায় বেশ কিছু সশস্ত্র অপরাধী দলের জমায়েত চলছিল। সেখানেই হামলা চালায় এক আত্মঘাতী জঙ্গি। ২৫ জন অপরাধীর পাশাপাশি ৪ জন সাধারণ নাগরিকও নিহত হয়েছেন।
আবার বদশখান প্রদেশে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত থাকায় ২৭ বছরের এক তরুণীকে ফাঁসি দিয়েছে তালিবান। গুপ্তচর সন্দেহে মাথা কেটে ফেলা হয়েছে দুই স্থানীয় পুলিশকর্মী ও এক সাধারণ নাগরিকের।
ঘটনাগুলির মধ্যে নির্দিষ্ট ছক দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। মোল্লা ওমরের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশের পরে তালিবানে নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ওই সংগঠন কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন গোয়েন্দারা। সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করতেই তালিবান মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দাদের একাংশ। তাই কাবুলে তালিবান জমানার কায়দায় অপরাধের শাস্তি দেওয়াও শুরু করেছে তারা। তালিবানের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলাও চলছে। নানগারহার প্রদেশে আফগান ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিমানহানায় ২৫ জন তালিবান জঙ্গি নিহত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ যে খুব উজ্জ্বল নয় তা মানছে সংশ্লিষ্ট সব শিবিরই। ওই আলোচনা প্রক্রিয়ার খাতিরে পুরোপুরি পাকিস্তানপন্থী ভূমিকা নিয়েছিলেন আশরফ ঘানি। তিনি এ বার পরিস্থিতি কী ভাবে সামলান তা-ই এখন দেখার।