গত ফেব্রুয়ারি থেকেই টালমাটাল মলদ্বীপের রাজনীতি। ছবি: এপি।
ফের সরগরম মলদ্বীপের রাজনীতি। সাম্প্রতিক ভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। আগামী কাল এ নিয়ে শুনানিও রয়েছে আদালতে। এর মধ্যে আজই জানা গিয়েছে, মলদ্বীপের নির্বাচন কমিশনে কর্মরত চার আধিকারিক দেশ থেকে পালিয়ে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁরা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রাণভয়ে দেশ ছেড়েছেন তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা, মলদ্বীপে থাকলে যে কোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যেতে পারেন।
গত ফেব্রুয়ারি থেকেই টালমাটাল এই দ্বীপরাষ্ট্রের রাজনীতি। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আচমকাই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। বিরোধীদের জেলে ঢোকান। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও বাদ পড়েননি সেই সময়। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যায় ইয়ামিনের দল ‘প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মালডিভস’। ইয়ামিন পুননির্বাচনের দাবি তুললেও আগামী নভেম্বরেই নতুন জোটের সরকার গঠন করার কথা। জোট সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন ‘মালডিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র নেতা ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ। এই পরিস্থিতিতে ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ইয়ামিন।
নির্বাচন কমিশনের যে চার জন কর্মী শ্রীলঙ্কায় চলে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে তিন জন এখন কলম্বোয়। বাকি এক জন কোথায়, তা জানা যায়নি। দেশে এখনও রয়েছেন দু’জন নির্বাচনী আধিকারিক। তবে ওই ৪ জন যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ইয়ামিনের দল। তাদের দাবি, সরকারের তরফে প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন।