সাইকেলে চেপে মায়ের সঙ্গে স্টেশনে যাচ্ছিল বছর চারেকের শিশু কন্যাটি। মা সাইকেল চালাচ্ছিলেন। মেয়ে বসেছিল সামনে। হঠাত্ই, পেছন থেকে এক জন জোর করে চেপে ধরে শিশুটির মাথা। তার পর ছুরি বের করে একের পর এক পোঁচে কেটে ফেলে মাথাটি! মরিয়া চেষ্টা করেও মেয়েকে ওই আততায়ীর হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি অসহায় মা। সোমবার এমন রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানের তাইপেইতে। আততায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মেয়ের গলায় যখন ছুরি দিয়ে আঘাত করছে ওই ব্যক্তি, তখন গায়ের সর্বশক্তি দিয়ে তাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন মা। কিন্তু, আততায়ীর সঙ্গে শক্তিতে পেরে ওঠেননি তিনি। সাইকেল থামিয়ে সাহায্য চেয়ে চিত্কার করতে শুরু করেন তিনি। চিত্কার শুনে পথচারীরা ছুটে আসেন। জাপটে ধরে আটকানো হয় আততায়ীকে। কিন্তু, তত ক্ষণে সব শেষ। এর পর বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। ভিডিও ফুটেজে সেই ছবি দেখাও গিয়েছে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর তেত্রিশের ওই আততায়ী কর্মহীন। তাদের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি দীর্ঘ দিন মানসিক হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন। যদিও তার সপক্ষে সরকারি কোনও নথি তারা পেশ করতে পারেনি আদালতে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করানো হয়। ক্ষিপ্ত জনতা সেই সময়েও ওই ব্যক্তিকে মারধর করে। যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে, বুধবার সেখানে ফুল এবং খেলনা নিয়ে শোক জানান স্থানীয়েরা। তাঁদের অনেকের প্রশ্ন, এ দেশে বাবা-মা দু’জনেই চাকরি করেন। এমন পরিস্থিতি হলে, বাচ্চারা নিরাপদে বেড়ে উঠবে কী করে?