Pakistan Afghanistan Relations

৪৮ ঘণ্টা সংঘর্ষবিরতির সময়সীমা শেষ হতেই সীমান্তে অশান্তি! শরিফ আফগান শরণার্থী বিতাড়নে সক্রিয়

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগে, খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মির আলি শহরে পাক সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালায় টিটিপি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ২২:২৭
Share:

শুক্রবার পাক-আফগান সীমান্ত। ছবি: রয়টার্স।

সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পাক সেনার জঙ্গিদমন অভিযান। আর তার জবাবে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ (টিটিপি)-এর ফিদায়েঁ হামলা। উত্তেজনা আর হানাহানির মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (ভারতীয় সময়) শেষ হল আফগানিস্তানের শাসক তালিবানের সঙ্গে পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ। তার পরেই টিটিপি (পাক সরকার এবং সেনা যাদের ‘ফিতনা আল খোয়ারিজ়’ বলে চিহ্নিত করে) এবং পাক বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে নতুন করে ডুরান্ড লাইনে অশান্তি ছড়িয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগে, খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মির আলি শহরে পাক সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালায় টিটিপি। এক অফিসার-সহ সাত পাক সেনার মৃত্যু হয়। এর পর ওই ঘাঁটিতে হামলাকারী জঙ্গিদের সঙ্গে একপ্রস্থ গুলির লড়াই হয় সেনা। তিন জঙ্গি তাতে নিহত হয়েছেন বলে পাক ফৌজের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (আইএসপিআর) দাবি। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, সীমান্ত লঙ্ঘন না করে পাকিস্তানের মাটিতেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এরই মধ্যে শুক্রবার পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া আফগান শরণার্থীদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য একটি বৈঠক করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বৈঠকের পর সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, এ পর্যন্ত মোট ১৪ লক্ষ আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এখনও যাঁরা পাকিস্তানে রয়ে গিয়েছেন, তাঁদের কোনও বাড়তি সময় দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী পাকিস্তানের মাটিতে সাড়ে ১৭ লক্ষ আফগান শরণার্থী ছিল। পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে, মূলত দু’টি কারণে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। প্রথমত, দেশের বেহাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাড়তি ব্যয়বহনে অক্ষমতা। দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সঙ্কট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement