আলিঙ্গনাবদ্ধ মোদী এবং শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহান। ছবি: পিটিআই।
মেরেকেটে ৪০ হাজার লোক ধরে দুবাইয়ের ক্রিকেট স্টেডিয়ামটাতে। এখানেই সোমবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ন’টায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে সেখানে হাজির থাকবেন প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ।
মারহাবা মানে স্বাগত। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, স্টেডিয়ামের বাইরে থাকছে ফুড স্টল, ডিজে এবং ভিডিও ওয়ালের ব্যবস্থা। সে সব জায়গায় মোদীর বক্তৃতা সম্প্রচার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এ দিন দুপুর নাগাদ দর্শকদের জন্য স্টেডিয়ামের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। মোদীর সম্মানে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ এই সেখানে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পীরা অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
এ দিন সকালে আবু ধাবি থেকে দুবাই যাওয়ার আগে এখানকার কার্বন-শূন্য স্মার্ট শহর মাসদার ঘুরে দেখেন। সেখানে মোদীকে দেখতে হাজির হন প্রচুর ভারতীয়। নগরোন্নয়ন নিয়ে সেখানকার প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। শহরের আর্কিটেক্টদের সঙ্গেও কথা বলেন। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশে স্মার্ট সিটি গড়তে এখানকার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান প্রধানমন্ত্রী। মাসদারের ডিজিটাল ভিজিটর্স বুকে ফেরার সময় মোদী লেখেন, ‘বিজ্ঞানই জীবন’।
মোদী যখন দু’দিনের সফরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এসেছেন, তখন শহরে একটি মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানাল আবু ধাবি প্রশাসন। এই শহরে বসবাসকারী ভারতীয়দের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল একটি মন্দির নির্মাণের।কিন্তু, জমির জন্য অনুমতি মিলছিল না। দুবাইতে দু’টি মন্দির থাকলেও আবু ধাবিতে একটিও মন্দির ছিল না। এ দিন প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতীয়রা।
রবিবার মোদী মন্তব্য করেন, আরব দেশের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ‘মিনি ইন্ডিয়া’। ইন্দিরা গাঁধীর পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনিই প্রথম এ দেশের মাটিতে পা রাখেন। এ দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো, শক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা ও জঙ্গি কার্যকলাপ আটকানোর বিষয়ে আলোচনা করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। আরব আমিরশাহির বিভিন্ন শহরে বাস বহু ভারতীয়ের। তাঁরা সে দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছেন। এই ভারতীয় শ্রমিকদের সঙ্গেও দেখা করেছেন মোদী।