পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। —ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)-এর ঋণ পাওয়া অব্যাহত রাখতে ১৮ মাসে ৬৪টি শর্ত মানতে হবে পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের জন্য মোট ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। সোমবার ইসলামাবাদের জন্য ১২০ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ১০ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা) ঋণে অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ-এর কার্যনির্বাহী বোর্ড। পরবর্তী কিস্তির ঋণ পেতে আরও ১১টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে পাকিস্তানের উপর। মোট ৬৪টি শর্ত মানলে তবেই পরবর্তী কিস্তির ঋণ পাবে পাকিস্তান।
নতুন ১১টি শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ। পাক সরকারকে উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকদের সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। পরে প্রাদেশিক সরকারগুলিকে একই নির্দেশ দেওয়া হবে। তা ছাড়া পাকিস্তানের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকে দুর্নীতি রুখতে কী পদক্ষেপ করা সম্ভব, তা জানাতে হবে ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানের
‘এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফেসিলিটি’ (ইএফএফ) এবং ‘রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি ফেসিলিটি’ (আরএসএফ)— এই দুই প্রকল্পেই পাকিস্তানের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে আইএমএফ। আগেও বেশ কয়েক দফায় এই প্রকল্পে পাকিস্তানকে ঋণ নিয়েছে আইএমএফ। এ বার আরও এক কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলার ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরএসএফ-এর আওতায় ২০ কোটি ডলারের ঋণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে আইএমএফ। এই নিয়ে দুই প্রকল্প মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৩০ কোটি ডলার বরাদ্দ হয়েছে পাকিস্তানের জন্য।
বছর দুয়েক আগে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের কাছ থেকে ৭০০ কোটি ডলারের ঋণের প্যাকেজ পেয়েছিল পাকিস্তান। অতিমারির পরে ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি মুদ্রার দাম পড়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি এবং জ্বালানির অভাবে ভুগছিল পাকিস্তান। সেই সময় আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের ঋণ পেয়ে কিছুটা চাঙ্গা হয় পাকিস্তানের অর্থনীতি। পরিবর্তে বেশ কিছু শর্তও মানতে বাধ্য ছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই শর্ত পাকিস্তান মানেনি বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল ভারত। এ সবের মধ্যেই গত মে মাসে পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করে আইএমএফ। তখনও আপত্তি জানায় ভারত। যদিও সেই সময়ে আইএমএফের ব্যাখ্যা ছিল, পাকিস্তান এই ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল লক্ষ্য পূরণ করেছে। তাই ঋণ মঞ্জুরে কোনও বাধা ছিল না।