Serbia School Shooting

ক্লাসের মধ্যে আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি! সার্বিয়ায় খুদে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত আট শিশু-সহ ন’জন

বেলগ্রেডের মধ্য ভ্রাকারের ভ্লাদিসলভ রিবনিকার এলিমেন্টারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুদে বন্দুকবাজ সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেলগ্রেড শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ১৬:২৭
Share:

বেলগ্রেডের মধ্য ভ্রাকারের ভ্লাদিসলভ রিবনিকার এলিমেন্টারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। ছবি: রয়টার্স।

ক্লাসে এসে সবে পড়াতে শুরু করেছেন শিক্ষক। রোজকার মতোই ক্লাসরুম শান্ত ছিল। চুপচাপ শিক্ষকের পড়া শুনছিল পড়ুয়ারা। এমন সময় আচমকাই চেয়ার ছেড়ে উঠে শিক্ষককে নিশানা করে গুলি ছোড়ে এক ছাত্র। মুহূর্তেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিক্ষক। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই স্তম্ভিত হয়ে যায় ক্লাসের বাকি পড়ুয়ারা। কিছু বোঝার আগে তাদের নিশানা করেও এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে আরম্ভ করে খুদে বন্দুকবাজ। বুধবার সকালে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের এই ঘটনায় ৮ শিশু এবং ১ নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। বিবৃতি দিয়ে তা জানিয়েছে সার্বিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Advertisement

বেলগ্রেডের মধ্য ভ্রাকারের ভ্লাদিসলভ রিবনিকার এলিমেন্টারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুদে বন্দুকবাজ সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৬ শিশু এবং ক্লাসের সেই শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গুলি-হামলার সময় ক্লাসরুমে থাকা এক ছাত্রীর বাবা মিলান মিলোসেভিচ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমার মেয়ে কোনও ক্রমে বেঁচে বেরিয়ে এসেছে। ছেলেটা প্রথমে ক্লাসের শিক্ষককে গুলি করেছে। তার পর গোটা ক্লাসে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে।’’ ঘটনার পর মেয়ের মুখে খুদে বন্দুকবাজ সম্পর্কে জেনেছেন মিলান। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেটা এমনিতে নাকি ভীষণ শান্ত। চুপচাপ থাকত ক্লাসে। ভাল ছেলে। কিছু দিন আগেই এই স্কুলে ভর্তি হয়েছে।’’

পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে ওই পড়ুয়া ক্লাসে গুলি চালাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্দুকবাজের হামলার মতো ঘটনায় সার্বিয়ায় তুলনামূলক ভাবে বিরল। তার নেপথ্যে রয়েছে কড়া অস্ত্র আইন। তবে ১৯৯০ সালে পশ্চিমের বলকান অঞ্চলে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে প্রচুর বেআইনি অস্ত্র দেশে ঢোকে। কড়া অস্ত্র আইন প্রয়োগ করে তার মোকাবিলা করা হয়। কিন্তু বুধবারের ঘটনায় সেই অস্ত্র আইন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কী ভাবে ওই শিশুর কাছে বন্দুক এল, তা-ই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন