নিহত স্ত্রী, আততায়ীর জন্য ক্ষমাই

ঢুকতে না ঢুকতেই ছুটে আসে গুলি। লুটিয়ে পড়েন হুসনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৬:০২
Share:

পাশে আছি: নিউজ়িল্যান্ডের ওয়েলিংটনের একটি মসজিদে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন। রবিবার। ছবি: এপি।

আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে নিউজ়িল্যান্ডকে। শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে শ্বেত সন্ত্রাসের বলি হন অন্তত ৫০ জন। শুক্রবারের প্রার্থনা সারতে মসজিদে এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে আসা ৫৯ বছরের আহমেদ। স্বামীকে বাঁচাতে সে দিন আল নুর মসজিদে ছুটে যান ৪৪ বছরের হুসনা। ঢুকতে না ঢুকতেই ছুটে আসে গুলি। লুটিয়ে পড়েন হুসনা।

Advertisement

তবে এত কিছুর পরেও ব্রেন্টনকে ক্ষমাই করতে চান আহমেদ। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ হিসেবে তার প্রতি আমার ভালবাসা। সে যা করেছে তা মানতে পারব না। কিন্তু ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ পন্থা।’’ আহমেদ জানান, তিনি ব্রেন্টনের ভিতরের ভাল মানুষটাকেই খুঁজতে চান। তাঁর বিশ্বাস, এক দিন সুনাগরিক হয়ে উঠবে সে-ও। সে দিন প্রার্থনা সারতে মসজিদে এসেছিলেন পেশায় ট্যাক্সিচালক আব্দুল কাদির আবাবোরা। হঠাৎই গুলি! প্রাণ বাঁচাতে কোরান রাখা তাকের পিছনে গা ঢাকা দেন আব্দুল।

একটাই চিন্তা মাথায় তখন, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা হবে তো কখনও! দু’সপ্তাহ আগেই দ্বিতীয় বার বাবা হয়েছেন আব্দুল। ওই একটা সিদ্ধান্তই বাঁচিয়ে দিয়েছিল সে দিন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না আব্দুল, যে তিনি বেঁচে। যখন ধর্মগ্রন্থের তাকের পিছন থেকে আব্দুল বেরিয়ে আসছেন, তখন তাঁর ডাইনে-বাঁয়ে শুধু মৃতদেহ। ২০১০ সালে ইথিয়োপিয়া থেকে নিউজ়িল্যান্ডে এসেছিলেন ৪৮ বছরের আব্দুল।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement