আব্বাস আছেন বলেই হায়নাদের আর ভয় পান না স্থানীয়েরাও। আব্বাস বলেন, তাঁর বাবা খাওয়ানো শুরু করার পর থেকেই হায়নারা আর আক্রমণ করে না।
আব্বাসের বাবা ছিলেন ইউসুফ মুম সালেহ। হায়নাদের ডেকে এনে খাওয়াতেন ইউসুফ। বাবার কাছ থেকেই বন্য হায়নাদের কী ভাবে পোষ মানিয়ে খাওয়াতে হয় তা শিখেছিলেন আব্বাস। এখন সেটাই তাঁর ভালবাসা।
তবে সন্তানের ব্যপারে তারা খুবই সচেতন। যদি কোনও ভাবে মনে কোনও সন্দেহ জাগে তা হলেই বিপদ।
নিজেও একটি ছোট্ট হায়না পুষেছেন আব্বাস। তাকে নিজের শোওয়ার ঘরেই রাখেন। সঙ্গে নিয়ে শুতে যান।
বাবার শুরু করা কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে যারপরনাই খুশি আব্বাস। তাঁর ইচ্ছা, ছেলেমেয়েরা বড় হলে তাদেরও হায়নাকে পোষ মানানোর কায়দা শিখিয়ে দেবেন তিনি।
বর্তমানে আব্বাসের ডেরা দেখতে আসেন পর্যটকরাও। নিজের মুখ থেকেও হায়নাদের মুখে খাবার তুলে দেন তিনি। ‘হায়না ম্যান’ চান এই পশুদের যেন মানুষ ভুল না বোঝে।