পৃথিবী ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন চার বার। মহাশূন্যে কাটিয়েছেন ৫২০ দিন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র মহাকাশচারীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় পৃথিবীর বাইরে থেকেছেন। এ বার তিনি চলে যাচ্ছেন নাসার বাইরে। স্কট কেলি অবসর নিচ্ছেন। মার্চের শেষ তারিখই নাসায় তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনের শেষ তারিখ হতে চলেছে। জানানো হয়েছে সংস্থার ওয়েবসাইটে।
নাসা থেকে অবসর নিলেও মহাকাশ গবেষণা থেকে কিন্তু কেলির অবসর নেওয়া হচ্ছে না এখন। একটানা প্রায় এক বছর মহাকাশ স্টেশনে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছেন স্কট কেলি। তাঁর এই মিশন সফল হওয়ার পর গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে। ভিনগ্রহে বা পৃথিবীর বাইরে ভবিষ্যতে মানুষের বসতি গড়ে তোলা যাবে কি না, সে সম্ভাবনা অনেক দিন আগেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে নাসা। স্কট কেলি মহাকাশ স্টেশনে এক বছর কাটিয়ে ফেরার পর সেই গবেষণা জোর পেয়েছে। তাঁর শরীরে কী কী পরিবর্তন এসেছে এত দিন পৃথিবীর বাইরে থাকায়, তাঁর যমজ ভাই মার্ক কেলির সঙ্গে তাঁর ফারক এখন কতটা, শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়ায় কোনও বদল এসেছে কি না, তা নিয়েই এখন গবেষণা চলছে। নাসা থেকে অবসর নিলেও স্কট কেলি সেই গবেষণায় অংশ নেবেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাঁর মেডিক্যাল চেকআপ হবে।
আরও পড়ুন:
সফল উৎক্ষেপণ ইসরোর উপগ্রহের, জিপিএসে স্বনির্ভর হল ভারত
কেলি প্রথম বার মহাকাশে গিয়েছিলেন ১৯৯৯ সালে। মার্কিন মহাকাশযান ডিসকভারি-তে চড়ে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ রক্ষণাবেক্ষণের কাজে গিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় মহাকাশ মিশনে প্রথম পা রাখেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। সে বার মহাকাশযান এনডেভার-এর কম্যান্ডার হয়ে মহাকাশে গিয়ছিলেন কেলি। ২০১০ সালে আবার যান সেখানে। ৬ মাস কাটিয়ে আসেন। ২০১৫ সালে চতুর্থ বার। এই শেষ বারে টানা এক বছর মহাকাশ স্টেশনে কাটিয়ে এসেছেন কেলি। সব মিলিয়ে জীবনের ৫২০টা দিন পৃথিবীর বাইরে কাটিয়ে ফেলেছেন কেলি।