তরুণ নেতাই পথ দেখাবেন ফ্রান্সকে

মধ্যপন্থী রাজনীতির তরুণ মুখ ইমানুয়েল মাক্‌রঁ আর কয়েক দিন পরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তাঁর হাত ধরেই নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাবে দেশ। অতি-দক্ষিণ নেত্রীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে এসে অনেকের মনেই এমন আশা-ভরসা জুগিয়েছেন মাক্‌রঁ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

প্যারিস শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৭ ০৩:২১
Share:

বিজয়ী: সোমবার প্যারিসে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ইমানুয়েল মাক্‌রঁ। ছবি: রয়টার্স

মধ্যপন্থী রাজনীতির তরুণ মুখ ইমানুয়েল মাক্‌রঁ আর কয়েক দিন পরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তাঁর হাত ধরেই নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাবে দেশ। অতি-দক্ষিণ নেত্রীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে এসে অনেকের মনেই এমন আশা-ভরসা জুগিয়েছেন মাক্‌রঁ।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁর মনে মনে কিছুটা ভয় এবং দুশ্চিন্তাও ছিল যে ফরাসি জনতা ন্যাশনাল ফ্রন্ট আর তার নেত্রী ল্য পেনকেই চায়। গোড়া থেকে ‘জিতে যাবো’ মার্কা কোনও আত্মবিশ্বাস মাক্‌রঁর ছিল না, যেটা শাপে বর হয়েছে তাঁর জন্য।

আর একটি বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সময়ে তাঁর সঙ্গে ওবামার প্রতিনিয়ত তুলনা, ওবামার সরাসরি মাক্‌রঁর জন্য সরব হওয়া, কাজ দিয়েছে সে সবও। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও ফ্রান্সে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন ওবামা। হালে ততটাও পানি পাননি প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ।

Advertisement

মাক্‌রঁর প্রচার শিবিরে যে তিন ফরাসি যুবক রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে ছিলেন, তাঁরা ওবামার প্রচার শিবিরেই প্রথম কাজ করে হাত পাকিয়েছিলেন। তাই মাক্‌রঁর জন্য তাঁরা ফিরিয়ে এনেছেন সেই সব কৌশল, যার মাধ্যমে অঁ মাঁর্শ-এর নেতা পরিপূর্ণ তথ্য হাতে লড়াইয়ে নেমেছেন। প্রতি দরজায় ঘুরে ঘুরে কথা বলেছেন আম জনতার সঙ্গে। এগুলোর পাশাপাশি কিছু রাজনৈতিক ঘটনাও সহায় হয়েছে মাক্‌রঁর জন্য।

আরও পড়ুন:মাক্‌রঁ জয়ী আশার কথা বলেই

গত জুনে ব্রিটেনের ইইউ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, তার পরে নভেম্বরে আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসা, উগ্র জাতীয়তাবাদের এই হিড়িকে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল সব স্তরেই। ল্য পেন শুধু ইউরো বিরোধিতা আর অভিবাসী হটানোর স্লোগান দিয়েও কিছু করে উঠতে পারেননি কারণ, তাঁর সমর্থকদের একটা বড় অংশ নিচুতলার বেকার শ্রেণি। যাঁরা ভাবছিলেন দেশের চাকরি বাঁচাতে সাহায্য করবেন অতি দক্ষিণ নেত্রী। কিন্তু সেই অংশ জনসংখ্যার নিরিখে যথেষ্ট কম। তা ছাড়া, ল্য পেনের আরও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ‘ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ দল হিসেবে ফরাসি জনতার মনে খুব একটা ইতিবাচক ছবি কখনওই তৈরি করে উঠতে পারেনি। কারণ, দলের প্রতিষ্ঠাতা, মারিনের বাবা জঁ-মারি ল্য পেনের নাৎসি ভাবধারার প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল। মারিন বিষয়টি পাশ কাটিয়ে গেলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্সের ভূমিকা নিয়ে তাঁর দু’-একটি মন্তব্য নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে।

বিভাজনের কথা ভুলে রবিবার রাতে জয়ের পরে মাঁক্‌রর ঘোষণা: ‘‘সামনে থাকা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে সব নারী-পুরুষকে একজোট করাই আমার দায়িত্ব। আমার সর্বশক্তি দিয়ে বিভাজন রুখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন