এই বিমান সংস্থার বিমানে উঠলে হয়তো যাত্রীরা মনে মনে প্রার্থনা করতে থাকেন, যেন বিমান থেকে নামার আগে খিদে না পায় কোনও মতেই! আর যদি খিদে পায়ও, তাহলে যেন তা তিনি সামলে নিতে পারেন! অবাক হচ্ছেন! উত্তর কোরিয়ার সরকারি বিমান সংস্থার বিমানে সফরকারী বেশিরভাগ যাত্রীই হয়তো এমনটাই প্রার্থনা করেন। কারণ, বেশিরভাগ যাত্রীই মনে করেন ‘বিশ্বের জঘন্যতম খাবার’ পরিবেশিত হয় উত্তর কোরিয়ার বিমানে। আর এই বিষয় নিয়েই এখন জোর চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাবছেন কী এমন খাবার খেতে উত্তর কোরীয় এয়ারলাইন্সে দেওয়া হয় যার জন্য অ্যাত্ত ভয়!
আরও পড়ুন: ট্রাম্পে আস্থা কূটনীতিকের
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উত্তর কোরীয় এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের নানা অভি়জ্ঞতা অনুযায়ী, বিমানে এক বিদঘুটে বার্গার খেতে দেওয়া হয় যাত্রীদের। বিমানে এক বিশেষ বার্গার পরিবেশিত হয়, যার মধ্যে দেওয়া থাকে কোনও এক ‘রহস্যময়’ প্রাণীর মাংস (যা নাকি ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়েও গরম), এক টুকরো চিজ ও একটি মাত্র লেটুস পাতা। এক যাত্রী তাঁর অভি়জ্ঞতায় জানিয়েছেন, সে বার্গারের স্বাদ এতটাই জঘন্য যে মুখে তোলা যায় না!
সম্প্রতি এক যাত্রী ওই খাবার সম্পর্কে লিখেছেন, “বার্গারটি যত রহস্যময়, তার ভিতরের দেওয়া সসটাও ততটাই রহস্যময়। বার্গারটি বোধহয় ফ্রিজ থেকে বার করে দেওয়া হয়। একেবারে বরফের মতো ঠান্ডা!”
এই বিমানে পিয়ংইয়ং থেকে বেজিংগামী এক যাত্রী তাঁর ভাগের খাবারের ছবিও টুইট করে লেখেন, “রহস্যময় মাংসের বিখ্যাত সেই মিট বার্গার (আমার ধারণা এটা শুয়োরের মাংস)! এয়ার কোরিয়ায় পরিবেশিত একমাত্র খাবার।”
সবমিলিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে উঠেছে উত্তর কোরীয় এয়ারলাইন্সের ‘মিট বার্গার’।