আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লা মোহিবের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।—ফাইল চিত্র।
কাবুলে পাকিস্তানের আধিপত্য কমাতে আগামিকাল আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লা মোহিবের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, গোটা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তাকে জোরদার করাটাও সাউথ ব্লকের আশু লক্ষ্য।
ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে, আফগানিস্তানে নিযুক্ত ১৪ হাজার সেনার অর্ধেককে দেশে ফেরানো হবে। এর ফলে কোনও শূন্যস্থান যাতে তৈরি না হয় এবং তালিবান যাতে কোনও বাড়তি সুবিধা না পায়, সে জন্য কোমর বাঁধছে সাউথ ব্লক। সূত্রের খবর, আগামিকালের বৈঠকে মোহিবের সঙ্গে আফগান সেনাদের জন্য বাড়তি সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতে নিয়মিত ভাবে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। এর আগে তালিবানের সন্ত্রাস দমনের জন্য রাশিয়ার তৈরি চারটি হেলিকপ্টার কাবুলকে পাঠিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, কাবুলে পিছনের দরজা দিয়ে পা রাখছে পাক সেনা তথা আইএসআই। যারা তলে তলে আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবান নেটওয়ার্ককে পুষ্ট করছে। গোটা বিষয়টি ভারতের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে এর আগে কূটনৈতিক চ্যানেলে একাধিক বার আমেরিকা এবং আফগান নেতৃত্বকে জানিয়েছে ভারত।
শুধু আমেরিকা নয়, সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গেও আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে নয়াদিল্লি। গত মাসেই দিল্লিতে রাশিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলাই পাত্রুশেভ-এর সঙ্গে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ডোভাল। আইএস-কে ঠেকাতে তালিবান জঙ্গিদের কাজে লাগানোর যে সূত্র রাশিয়া নিয়ে চলছে, তা যথেষ্ট মারাত্মক বলেই মনে করে ভারত। তাই, একই সঙ্গে আফগানিস্তান, রাশিয়া এবং আমেরিকাকে একই টেবিলে রেখে কাবুল নীতি নিয়ে চলতে চাইছে ভারত।