অতি-ধনীরা ৬০-৭০% কর দিন, চান আলেকজ়ান্দ্রিয়া

কঠিন পরিশ্রম করে রোজগার  করতে হত বাবা-মাকে— নিউ ইয়র্কের ২৯-এর তরুণী সেটা দেখেই বড় হয়েছেন। প্রচারের সময়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলোও ভোলেননি। আয়কর প্রসঙ্গে তাই একটি মার্কিন চ্যানেলকে বলেছেন, ‘‘ওদের যথেষ্ট পরিমাণ কর দেওয়া উচিত।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:৩৬
Share:

আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্তেজ।

শপথ নেওয়ার দিন থেকেই চর্চায় রয়েছেন তিনি। এ বার আমেরিকার অতি-ধনীদের (‘আল্ট্রা রিচ’) উপরে ৬০-৭০ শতাংশ কর চাপানোর প্রস্তাব দিয়ে ফের শিরোনামে মার্কিন কংগ্রেসের তরুণতম সদস্যা আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্তেজ।

Advertisement

কঠিন পরিশ্রম করে রোজগার করতে হত বাবা-মাকে— নিউ ইয়র্কের ২৯-এর তরুণী সেটা দেখেই বড় হয়েছেন। প্রচারের সময়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলোও ভোলেননি। আয়কর প্রসঙ্গে তাই একটি মার্কিন চ্যানেলকে বলেছেন, ‘‘ওদের যথেষ্ট পরিমাণ কর দেওয়া উচিত।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ প্রকল্পের সবুজ নয়া চুক্তির (‘গ্রিন নিউ ডিল’) আওতায় রাখা হচ্ছে প্রস্তাবিত এই শুল্ক পরিকল্পনাকে। ডেমোক্র্যাটিক সদস্যা, যিনি এখন জনপ্রিয় তাঁর টুইটার-পরিচয় ‘এওসি’ (নামের আদ্যক্ষর) দিয়ে, চাইছেন অতি-ধনীদের থেকে আদায় করা করের ওই অর্থ ‘সবুজ নয়া চুক্তি’তে ঢালতে। এই চুক্তির লক্ষ্য ২০৩০-র মধ্যে কার্বন নিঃসরণ একেবারে বন্ধ করে দেওয়া।

মার্কিন চ্যানেলে আলেকজ়ান্দ্রিয়ার প্রস্তাব, ‘‘মাসে ০-৭৫ হাজার ডলার যাঁর রোজগার, ধরুন ১০-১৫ শতাংশ আয়কর দেবেন তিনি। এর পরে যদি আপনি উপরের দিকে ওঠেন, মানে একেবারে শীর্ষের কাছাকাছি, মাসে ১ কোটি ডলার আসে যাঁর হাতে, সে ক্ষেত্রে করের হারও বাড়বে, অন্তত ৬০-৭০ শতাংশ। এই শ্রেণিতে যাঁরা পড়েন, তাঁদের থেকে বিরাট পরিমাণ কর চাওয়া হচ্ছে, এমন ভাবার কারণ নেই। ওঁরা যখন মইয়ের মাথাটা ছুঁয়ে ফেলেছেন, করও তো দিতে হবে।’’ আমেরিকায় এখন আয়করের সর্বোচ্চ সীমা ৩৭ শতাংশ। আগে যা ছিল ৩৯.৬ শতাংশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আর্থিক সংস্কারের পরে যা কমে গিয়েছে।

Advertisement

এওসি-র প্রস্তাব কতটা দিনের আলো দেখবে কেউ জানে না। কিন্তু কংগ্রেসের অনেক সদস্যই সমর্থন জানিয়েছেন। একটি মার্কিন দৈনিকের সম্পাদকীয় পাতার লেখায় নোবেল-জয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান পাশে দাঁড়িয়েছেন আলেকজ়ান্দ্রিয়ার। বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, এই তরুণীর বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য তাঁকে ‘অজ্ঞ এবং উন্মাদ’ বলে হেয় করার একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ক্রুগম্যান বলেছেন, ‘‘কর সংক্রান্ত বিষয়ে উনি সেটাই বলছেন, যা অর্থনীতিবিদেরা বলে থাকেন।’’

আলেজ়ান্দ্রিয়া ওই চ্যানেলে মুখ খুলেছেন ট্রাম্পকে নিয়েও। এমনিতে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খুব একটা বলেন না। তবে প্রশ্নের মুখে এওসি-র জবাব, ‘‘উনি নিঃসন্দেহে বর্ণবিদ্বেষী। বিষয়টা আবিষ্কার করেছেন, বলছি না। কিন্তু বিষয়টাকে বাড়তে দিয়েছেন এবং সমর্থনও করেছেন।’’ জবাবে হোয়াইট হাউস বলেছে— প্রেসিডেন্ট বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন। ওকাসিয়ো কর্তেজ়ের মন্তব্য ‘‘একেবারেই অজ্ঞতা থেকে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন