Blue Whale Challenge

‘নীল তিমি’র ফাঁদে পড়ে আমেরিকায় আত্মহত্যা ভারতীয় পড়ুয়ার! কী এই ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’?

কী এই ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’? অনলাইনের এই খেলা ‘আত্মহত্যার খেলা (সুইসাই়ড গেম)’ নামেও পরিচিত। রাশিয়ায় উদ্ভূত ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ ক্ষতিকর প্রকৃতির জন্য কুখ্যাত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

‘নীল তিমি’র ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে কমবয়সিরা! গত মার্চ মাসে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে উঠে আসছে এমনই তত্ত্ব। মনে করা হচ্ছে ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ নামে একটি খেলা নিয়ে মেতে উঠেছিলেন ওই পড়ুয়া। আর ওই খেলায় ‘আত্মহত্যা’র দিকে ঠেলে দিয়েছিল তাঁকে।

Advertisement

গত মার্চ মাসে ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ বছর বয়সি এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। তিনি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিলেন। তারই তদন্তে এ বার উঠে এল ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ নামে এক মারণ খেলার নাম।

কিন্তু কী এই ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’? অনলাইনের এই খেলা ‘আত্মহত্যার খেলা (সুইসাই়ড গেম)’ নামেও পরিচিত। রাশিয়ায় উদ্ভূত ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ ক্ষতিকর প্রকৃতির জন্য কুখ্যাত। সাধারণত ৫০ দিন ধরে এই চ্যালেঞ্জ চলে। ওই ৫০ দিন এক জন সঞ্চালক অনলাইনে খেলোয়াড়দের একের পর এক ভয়ঙ্কর কিছু কাজ করার দায়িত্ব বা ‘টাস্ক’ দেন। যা কখনও কখনও খেলোয়াড়দের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। প্রতি ধাপে আরও কঠিন হতে থাকে সেই খেলা।

Advertisement

প্রথম প্রথম ‘মাঝরাতে জেগে ওঠা’ বা ‘ভূতের সিনেমা একা বসে দেখার’ মতো টাস্ক দেওয়া হলেও পরবর্তীতে ‘বহুতলের কার্নিশে চোখ বন্ধ করে দাঁড়ানো’ বা ‘হাত কাটতে বলা’র মতো নির্দেশ দেওয়া হয়। শেষ ধাপে আত্মহত্যার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয় ব্যবহারকারীদের।

তবে জেনেশুনে অনেকেই এই মৃত্যুফাঁদে পা দেয় না। মূলত হুমকি, ব্ল্যাকমেল বা কারসাজির মাধ্যমে এই সব চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা হয় খেলোয়াড়দের। সাধারণত ফাঁদ পাতা হয় কম বয়সিদের জন্যই।

২০১৯ সালে ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠে আসতে থাকে। রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারত এবং আমেরিকার মতো দেশে অনেক আত্মহত্যার ঘটনার নেপথ্যে এই খেলার হাত ছিল বলেও মনে করা হচ্ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন