প্রয়াত নভশ্চর জন ইয়ং

প্রথম জীবনে ছিলেন নেভি পাইলট। নাসায় যোগ দেন ১৯৬২ সালে। নাসার নভশ্চর বাছাইয়ের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন তিনি। এর পরে চেপে বসেন ‘জেমিনি৩’-এ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩০
Share:

জন ইয়ং

ছ’বার মহাকাশ সফরের রেকর্ড ছিল তাঁর ঝুলিতে। পাক খেয়েছেন, হেঁটেছেন চাঁদে। যদিও বলতেন, ‘‘এই কাজটা যে কেউ করতে পারতেন। আমি শুধু ঠিক সময়ে ঠিক সুযোগটি পেয়ে গিয়েছি।’’ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার সঙ্গে টানা ৪২ বছর যুক্ত থাকার পরে ৮৭ বছর বয়সে মারা গেলেন কিংবদন্তি মার্কিন নভশ্চর জন ইয়ং। নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন তিনি।

Advertisement

প্রথম জীবনে ছিলেন নেভি পাইলট। নাসায় যোগ দেন ১৯৬২ সালে। নাসার নভশ্চর বাছাইয়ের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন তিনি। এর পরে চেপে বসেন ‘জেমিনি৩’-এ। সেই প্রথম মানুষ নিয়ে মহাকাশ পাড়ি জেমিনি-র। ১৯৮১ সালে প্রথম মহাকাশ ফেরিযানে দলকে তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। চাঁদে পাড়ি দিয়েছিলেন দু’বার। ১৯৬৯ সালে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করেছিল ‘অ্যাপোলো-১০’। সেই দলে ছিলেন তিনি। পরে ১৯৭২ সালে ‘অ্যাপোলো-১৬’ অভিযানে চাঁদের মাটিতেও পা রাখেন তিনি।

এক বার এক কাণ্ড করে বসেন ইয়ং। লুকিয়ে স্পেসস্যুটের ভিতরে কর্ন-বিফ স্যান্ডউইচ পুরে নিয়ে মহাকাশযানে উঠে পড়েছিলেন। জানাজানি হয়ে যায় বিষয়টা। মার্কিন আইনসভার কিছু সদস্য ইয়ংয়ের নিন্দা করে বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের করের টাকায় গবেষণা চলে। এই নিয়ে রসিকতা করা ঠিক নয়।’’ তবু ইয়ং ছিলেন এমনই— প্রাণবন্ত, নিরহঙ্কার। নিজের যাবতীয় কৃতিত্বকে যিনি স্রেফ ‘সুযোগ’ পেয়ে যাওয়ার বেশি মনে করেননি কোনও দিন। শুক্রবার তাঁর মৃত্যুতে মহাকাশচারী স্কট কেলি বলেছেন, ‘‘নভশ্চরদের শিক্ষক ছিলেন ইয়ং। সত্যিকারের কিংবদন্তি! ক্যাপ্টেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement