Donald Trump

বিদেশি কর্মী নয়, চাকরিতে অগ্রাধিকার মার্কিনদের

এইচ-ওয়ানবি ভিসায় প্রতি বছর প্রচুর ভারতীয় ও চিনা কর্মী মার্কিন তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে কাজের সুযোগ পান। সম্প্রতি মার্কিন সংস্থা ‘টেনেসি ভ্যালি অথরিটি’ ঘোষণা করেছিল, বিভিন্ন বিদেশি  সংস্থাকে দিয়ে তারা প্রায় ২০ শতাংশ কাজ করাতে চায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২০ ০৬:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা পরিস্থিতিতে মার্কিনদের চাকরি সুরক্ষিত রাখতে ২০২০ সালে নতুন করে এইচ-ওয়ানবি ভিসা অনুমোদন করা হবে না বলে ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। সেই পথে এক ধাপ এগিয়ে ট্রাম্প সরকার ঘোষণা করল, শুধুমাত্র কম বেতনে কর্মী পাওয়া যায় বলে, এইচ-ওয়ানবি বা অন্য কোনও ভিসায় বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করা যাবে না। কর্মক্ষেত্রে মার্কিনদের অগ্রাধিকার দিতেই হবে। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকায় সই করেছেন ট্রাম্প। তাতেই আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীদের মধ্যে।

Advertisement

এইচ-ওয়ানবি ভিসায় প্রতি বছর প্রচুর ভারতীয় ও চিনা কর্মী মার্কিন তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে কাজের সুযোগ পান। সম্প্রতি মার্কিন সংস্থা ‘টেনেসি ভ্যালি অথরিটি’ ঘোষণা করেছিল, বিভিন্ন বিদেশি সংস্থাকে দিয়ে তারা প্রায় ২০ শতাংশ কাজ করাতে চায়। তাতে আগামী ৫ বছরে ২০০ মার্কিন কর্মীর কাজ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। তার পরেই ট্রাম্পের এই নির্দেশ। সোমবার ট্রাম্প বলেন, ‘‘মার্কিনদের জীবিকার স্বার্থে নতুন নির্দেশিকায় সই করলাম। কর্মক্ষেত্রে মার্কিনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।’’ তাঁর মতে, ভবিষ্যতে ‘সস্তার’ বিদেশি কর্মীদের জন্য যাতে দক্ষ মার্কিনদের চাকরি খোয়াতে না হয়, তার জন্যই এই বন্দোবস্ত। তিনি বলেছেন, ‘‘এইচ-ওয়ানবি জাতীয় ভিসার মাধ্যমে শুধু উচ্চমেধার উঁচু পদাধিকারীদের চাকরি হওয়া উচিত। বেতন কাঠামো নয়, নিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে মেধার বিচারেই বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে হবে। সংস্থাগুলি সেই নিয়ম মানছে কিনা, নতুন আইনে তা খতিয়ে দেখা হবে। ট্রাম্প-বিরোধীদের মতে, করোনা সামাল দিতে ব্যর্থ ট্রাম্প। তাই নির্বাচনের আগে দেশবাসীর মন জয় করতে নতুন নতুন ঘোষণা করছেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশর মতে, নয়া নিয়মে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমেরিকাই। ভারতীয় বাণিজ্য সংগঠন ন্যাসকমও জানিয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির সমস্ত দরজা খুলে দেওয়া দরকার, তখন এই নতুন নির্দেশ জারি করল আমেরিকা। এতে বিদেশি মেধা থেকে ওরা বঞ্চিত হবে। তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতি, চাকরি, উন্নয়ন-সহ সব ক্ষেত্রেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন