Iran-Israel Conflict

হামলা চালাতে পারে ইরান! পশ্চিম এশিয়ার ‘স্পর্শকাতর’ ঘাঁটি থেকে সরছে মার্কিন যুদ্ধবিমান, রণতরী

কাতারের মার্কিন দূতাবাস একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে। তাতে পশ্চিম এশিয়ায় সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি আল-উদেইদে সাময়িক ভাবে অসামরিক কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৫ ২২:৫৮
Share:

‘ঝুঁকিপূর্ণ’ কয়েকটি সেনাঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমান ও রণতরী সরিয়ে নিতে শুরু করেছে আমেরিকা। ছবি: সংগৃহীত।

ইরান সেনার সম্ভাব্য হামলা এড়াতে এ বার পশ্চিম এশিয়ায় নতুন রণকৌশল পেন্টাগনের। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানার আশঙ্কা রয়েছে, এমন ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ কয়েকটি সেনাঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমান ও রণতরী সরিয়ে নিতে শুরু করেছে আমেরিকা!

Advertisement

ইজ়রায়েলের সহযোগী হিসেবে যুদ্ধে আমেরিকা যোগ দিলে প্রত্যাঘাত করা হবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এই আবহে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই ‘সংবেদনশীল’ সেনাঘাঁটিগুলি থেকে যুদ্ধবিমান ও রণতরী সরানো হচ্ছে বলে পেন্টাগনের একটি সূত্র জানিয়েছে। অন্যদিকে, কাতারের মার্কিন দূতাবাস বৃহস্পতিবার একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে, যেখানে পশ্চিম এশিয়ায় সবচেয়ে বড় মার্কিন সেনাঘাঁটি আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে (যা কাতারের রাজধানী দোহার অদূরে অবস্থিত) সাময়িক ভাবে অসামরিক কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পশ্চিম এশিয়া এবং সন্নিহিত অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে আমেরিকার মোট ১৯টি স্থায়ী এবং অস্থায়ী সেনাঘাঁটি রয়েছে। সেগুলিতে রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন সেনা। এর মধ্যে আটটি স্থায়ী ঘাঁটি বাহরিন, মিশর, ইরাক, জর্ডন, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অবস্থিত। ঘাঁটিগুলি মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)-এর নিয়ন্ত্রণে। গত ১২ জুন রাতে ইজ়রায়েল সেনার ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’-এর পরে তেল আভিভ-তেহরান সংঘর্ষ পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে সঙ্কট তৈরি হওয়ায় মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের অধীনস্থ ‘নিমিৎজ় ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’ (আদতে ওই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ এবং তার সহযোগী কয়েকটি ডেস্ট্রয়ার এবং কর্ভেট শ্রেণির রণতরী) তাইওয়ান উপকূল থেকে ওমান উপসাগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। ইতিমধ্যেই সেটি আরব সাগরে পৌঁছে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, আমেরিকা থেকে অন্তত এক স্কোয়াড্রান জ্বালানি পরিবহণকারী সামরিক বিমান পাঠানো হয়েছে। যেগুলি উড়ন্ত অবস্থায় যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরতে সক্ষম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement