Police Beating in US

পুলিশের মারে আমেরিকায় আবার কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু, শেষ মুহূর্তে চিৎকার করে মাকে ডাকছিলেন নিকোলস

পুলি‌শের হাতে মার খাওয়ার পর ওই কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালে ভর্তি করানোর ৩ দিন পর মারা যান তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৩২
Share:

রাস্তায় ফেলে পুলিশ বার বার ঘুষি, লাথি মারছিলেন টায়ারের মুখে। ছবি: সংগৃহীত

২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনা এখনও আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের মনে সতেজ রয়েছে। সেই আঘাত আবার তরতাজা হয়ে উঠল শুক্রবার। টায়ার নিকোলস নামে আমেরিকার এক কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দা পুলিশের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। শুক্রবার সেই ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

টায়ারকে রাস্তায় ফেলে তাঁর মুখে বার বার ঘুষি মারছিলেন মেম্ফিসের পুলি‌শ আধিকারিকেরা। যন্ত্রণায় মাকে ডাকছিলেন টায়ার। কিন্তু পুলিশ সেখানেই থেমে থাকেনি। রাস্তায় ফেলে বার বার পা দিয়ে লাথিও মেরেছিলেন টায়ারের মুখে। ঘটনাস্থলে আপৎকালীন স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে পৌঁছলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু টায়ারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালে ভর্তি করানোর ৩ দিন পর মারা যান ২৯ বছর বয়সি টায়ার।

এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টায়ারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। টায়ারের মা ওয়েলসের সঙ্গে শুক্রবার কথাও বলেছেন বাইডেন। ওয়েলসের মন্তব্য, পুলিশ যা করেছে, তাতে তারা নিজেদের পরিবারের সম্মান খুইয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, পুলিশের তরফে ওয়েলসকে জানানো হয়েছিল যে, তাঁর পুত্র টায়ার মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁকে গ্রেফতার করার সময় সহযোগিতা করেননি বলেই টায়ারের গায়ে হাত তুলেছিল পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৫ জন পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করলেও পরে ৪ জনকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওয়েলস বলেছেন, ‘‘আমার ছেলে খুব শান্ত, খুব ভাল স্বভাবের। যন্ত্রণায় কাতরানোর সময় আমাকে ডাকছিল ও। কিন্তু ওর যখন আমাকে প্রয়োজন ছিল, তখন আমি ওর পাশে দাঁড়াতে পারলাম না।’’

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ফেডএক্স সংস্থায় কাজ করতেন টায়ার। ৪ বছর বয়সি এক পুত্রসন্তান রয়েছে তাঁর। মায়ের নাম লিখে নিজের হাতে একটি ট্যাটু বানিয়েছিলেন তিনি। ছবি তোলা এবং স্কেটবোর্ডিংয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল টায়ারের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন