প্রতিবাদ। গর্ভপাত বিল খারিজ হওয়ার পর। ছবি: রয়টার্স।
হ্যাঁ বলতে পেরেছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু সে পথে হাঁটতে পারল না পোপের দেশ। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ১৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়ার জন্য বিল নিয়ে বিতর্ক-ভোটাভুটির শেষে আর্জেন্টিনার সেনেট ওই বিল খারিজ করে দিয়েছে। ১৫ ঘণ্টারও বেশি বিতর্কের পরে এই বিলের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ৩৮টি। আর পক্ষে পড়েছে ৩১টি। যদিও সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, এই বিলে সমর্থন রয়েছে দেশের বেশির ভাগ মানুষের।
আর্জেন্টিনার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর অধিকর্তা মারিয়েলা বেলস্কি বলেছেন, ‘‘সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল ৬০ শতাংশ মানুষ এই বিলের পক্ষে রয়েছেন। এই বিল পাশ না হওয়ার ব্যর্থতা প্রকৃতপক্ষে পিছিয়ে যাওয়ার শামিল, যা ক্ষমার অযোগ্য।’’
বুধবার রাতে কংগ্রেস ভবনের বাইরে প্রবল ঠান্ডা ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে দাঁড়িয়েছিলেন অগুনতি মানুষ। বেশির ভাগই মহিলা। বিল খারিজ হওয়ার খবর আসতেই নারী অধিকারের আন্দোলনকারীদের মধ্যে ২৩ বছরের নাতালিয়া ক্যারল বলেছেন, ‘‘আমি এখনও আশাবাদী। আজ পাশ হল না। কাল হবে। বা তার পর দিন হবে। বিতর্কটা শেষ হয়নি।’’
এই বিল নিয়ে আপত্তি গোপন করেননি পোপ ফ্রান্সিস। সোমবার স্থানীয় সংবাদপত্রে জানানো হয়, গর্ভপাত-বিরোধী সেনেটরদের পোপ জানিয়েছেন, সতীর্থদের উপরে চাপ বাড়ান, যাতে বিলটি খারিজ হয়ে যায়।
নারী অধিকারের আন্দোলনকারীরা বলছেন, ক্যাথলিক গির্জার চাপেই এই বিল পাশ হল না। ‘নট ওয়ান লেস’ নামে আন্দোলনের অন্যতম সদস্য আনা করেয়া বলেছেন, ‘‘সেনেটররা যাতে বিলের বিপক্ষে ভোট দেন, তার জন্য চাপ তৈরি করেছিল চার্চ।’’ তাই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বেশ কিছু দিন আগে পাশ হয়ে গেলেও এই বিল আটকে গেল অধিকাংশ সেনেটরের বিরোধিতায়। এই বিল খারিজের অর্থ, আর্জেন্টিনায় গর্ভপাত অবৈধই রইল। আগের আইনে কেবল ধর্ষণের শিকার এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলার স্বাস্থ্যে ঝুঁকি তৈরি হলে তবেই গর্ভপাতে সায় মেলে।
সারা বিশ্বের সেরা সব খবর বাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।