প্রতীকী ছবি।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াল ভারত। বলল, সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে লাগাতার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে। আর সেটা ঘটছে ভারতের সীমান্তের ও-পার থেকে। কিন্তু কোনও কোনও ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জের ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদ সর্বসম্মতিতে পৌঁছতে না পারছে না। ফলে, পরোক্ষে সন্ত্রাসবাদই মদত পাচ্ছে।
শুক্রবার সাধারণ পরিষদে ‘রিপোর্ট অফ দ্য হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল’-এর উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি পৌলমী ত্রিপাঠি এ কথা বলেছেন।
ত্রিপাঠি অবশ্য সরাসরি পাকিস্তানের নামোল্লেখ করেননি। কিন্তু তাঁর বক্তব্যেই ইঙ্গিত মিলেছে, পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা কট্টর সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদের ইস্যুকে সামনে রেখে চিন যে ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সদস্যপদ পাওয়ার দাবিতে বাগড়া দিয়ে চলেছে, তা দিল্লির একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না। নিরাপত্তা পরিষদে নতুন কাউকে সদস্য করতে গেলে পরিষদের সব সদস্য দেশকেই সর্বসম্মতিতে পৌঁছতে হয়। ব্রিটেন, আমেরিকা, রাশিয়া ভারতকে সদস্য করতে রাজি থাকলেও হাফিজ সইদের ইস্যু নিয়ে চিন এ ব্যাপারে গোড়া থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে।
পৌলমীর কথায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি। আর সেই সন্ত্রাসবাদের লালন-পালন চলছে ভারতের সীমান্তের ও-পার থেকে। সেই সন্ত্রাসবাদকে কী ভাবে একজোট হয়ে মোকাবিলা করা যায়, তার দিশা দেখাতে সবক’টি দেশকে সর্বসম্মতিতে পৌঁছতে হবে। দেখতে হবে, যাতে মানবাধিকার পরিষদের সদস্য দেশগুলির সর্বসম্মতির অভাবে যেন পরোক্ষে সন্ত্রাসবাদই না মদত পায়।’’
আরও পড়ুন- এই ভোট কি ফিরিয়ে দেবে চেনা আমেরিকাকে
আরও পড়ুন- জঙ্গি দমন নিয়ে দিল্লির চাপের মুখে মায়ানমার
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পদ্ধতিগুলি কার্যকর করার সময় তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়াটাও খুব জরুরি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি ত্রিপাঠি।
পৌলমী বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য দেশগুলির কেউ কেউ সর্বসম্মতিতে না পৌঁছনোর জন্য কয়েকটি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করছে। তাতে অস্বচ্ছতা থেকে যাচ্ছে।’’