অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিস! ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ার মসনদে আবার বসতে চলেছে অ্যান্টনি আলবানিসের লেবার পার্টি! টানা দ্বিতীয় বার ক্ষমতা ধরে রাখলেন আলবানিস। অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে ‘ঐতিহাসিক জয়’ পেল তারা। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আলবানিসের দল এখনও পর্যন্ত ৭০টি আসনে জয় পেয়েছে। সেখানে পিটার ডাটনের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট জিতেছে মাত্র ৪৪ আসন! পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন ডাটন। তাঁর কথায়, ‘‘ভোটে আমরা ভাল ফল করতে পারিনি। এই হারের দায় আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি।’’
পরিবর্তন, না পুরনোতেই আস্থা— অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই এই প্রশ্ন উঠেছিল। প্রচারের সময় উভয় দলই জোর দিয়েছিল সে দেশের জীবনযাপনের খরচ সংক্রান্ত সঙ্কটের উপর। তবে বিরোধীরা সরকারের একাধিক নীতি নিয়ে সরব হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জন্য আলবানিসের সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন ডাটনেরা। তাঁদের দাবি, মুদ্রাস্ফীতি রুখতে ব্যর্থ আলবানিস এবং তাঁর সরকার। পাল্টা আক্রমণে ডাটনের পারমাণবিক প্রস্তাবকে নিশানা করেছিল লেবার পার্টি। অভিযোগ, ডাটনের দল ‘বিভাজনমূলক রাজনীতি’র পালে হাওয়া দিচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচন এ বার বিশ্ববাসীর কাছে আকর্ষণের অন্যতম বিষয় ছিল। তার মূলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ঘাটতি ভোটে প্রভাব ফেলেছে। সেই আবহে আলবানিসের সরকার চিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছিল। আমেরিকা-চিন শুল্কযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন কোনও পক্ষ না নিলেও আলবানিসের সরকারের অবস্থান স্পষ্ট ছিল। অনেকের মতে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধে লেবার পার্টির সরকারের নীতির দিকেই ঝুঁকল অস্ট্রেলিয়া! লেবার পার্টির জয়ের পর আলবানিসকে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
গত ২২ এপ্রিল প্রায় ৮০ লক্ষ অস্ট্রেলীয় আগাম ভোট দিয়েছিলেন। শনিবার (৩ এপ্রিল) ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বাকিরা। তাঁরাই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করলেন। ভরসা রাখলেন আলবানিসের উপরই।