অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ়। ছবি: এএফপি।
ভারতবিরোধী মন্তব্যে ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ়। বিরোধী দলের নেত্রীকে অবিলম্বে তিনি ক্ষমা চাইতে বলেছেন। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, ভারতবিরোধী মন্তব্যে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। শাসক, বিরোধী সব দলের নেতৃত্বই ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন এবং ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সেন্টার-রাইট লিবারাল পার্টির সেনেটর জেসিন্টা নামপিজিনপা প্রাইস। কিছু দিন আগে একটি রেডিয়ো চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ানিবাসী ভারতীয়দের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, প্রচুর সংখ্যক ভারতীয়কে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ এবং থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ় এবং তাঁর দলের সুবিধা হচ্ছে। কারণ, দেশের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সম্প্রদায় ওই দলকেই ভোট দিয়ে থাকে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের সমস্যা হচ্ছে। জীবনযাপনের খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। চাকরির ক্ষেত্রেও বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। প্রাইস বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য চিন্তা বাড়ছে। কারণ ওরা সংখ্যায় প্রচুর। লেবার পার্টির ভোটব্যাঙ্কেও আমরা এর প্রতিফলন দেখেছি।’’
ভারতীয়েরা অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিরোধী সেনেটরের এই মন্তব্যের পর ওই সম্প্রদায়ের মধ্যো ক্ষোভ বাড়ছে। জোরালো হচ্ছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার দাবি। এমনকি, নিজের দলের অন্দরেও সমালোচিত হয়েছেন ওই নেত্রী। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষের মনে আঘাত লেগেছে। সেনেটর যে মন্তব্য করেছেন, তা সত্য নয়। অবশ্যই অবিলম্বে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। ওঁর নিজের দলের সহকর্মীরাও সে কথা বলছেন।’’
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে সে দেশে ভারতীয় বংশোদ্ভূতের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮০০ জন, যা আগের দশকের দ্বিগুণ। এ ছাড়া, আরও হাজার হাজার মানুষ আছেন, যাঁরা কোনও না কোনও ভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ভারতীয়দের অভিবাসনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলীয়দের একাংশ অবশ্য সরব হয়েছেন। এ নিয়ে নয়াদিল্লির বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সে দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।