সেই শিখ শিশু সিধক সিংহ অরোরা।
মাথায় পাগড়ি পরার জন্য একটি ৫ বছরের শিখ শিশু ভর্তি হতে পারল না মেলবোর্নের একটি স্কুলে। প্রতিবাদে তাঁর অভিভাবকরা আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। ওই শিশুটির বাবা সাগরদীপ সিংহ অরোরার অভিযোগ, তাঁর ৫ বছরের শিশুপুত্রকে মেলবোর্নের মেল্টন ক্রিশ্চিয়ান কলেজ নামে একটি স্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে গিয়ে তিনি অপমানিত হয়েছেন। শিশুটির মাথায় পাগড়ি পরা ছিল বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে ভর্তি করতে রাজি হননি।
স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ছাত্রদের ইউনিফর্ম নিয়ে তাঁদের সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী, ছাত্রছাত্রীদের কোনও ধর্মীয় অনুশাসনে থাকা কোনও পোশাক পরতে দেওয়া হয় না। ৫ বছরের ওই শিশুটির মাথায় ছিল পাগড়ি। সে জন্যই সাগরদীপের শিশুপুত্র সিধক সিংহ অরোরাকে স্কুলে ভর্তি করা হয়নি।
আরও পড়ুন- ইস্তফা দিলেন নওয়াজ, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছতে জোর তৎপরতা
এর প্রতিবাদে সিধকের অভিভাবকরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁরা একটি মামলা দায়ের করেছেন ভিক্টোরিয়ান সিভিল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (ভিসিএটি)। সিধকের অভিভাবকদের অভিযোগ, মেলবোর্নে সকলের জন্য বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের ওই আচরণে সিধকের সেই অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
সিধকের বাবা সাগরদীপ বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার মতো একটা উন্নত দেশে পাগড়ি পরার জন্য একটা শিশুকে স্কুলে ভর্তি করা হল না দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। এটা তো শিশুদের ধর্মীয় অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ।’’